প্যান্ডেলের মধ্যে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে এক পুজো উদ্যোক্তা মৃত্যুর খবর পঞ্চমীতে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের সুভাষগ্রামে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সাহা। তিনি স্থানীয় কোদালিয়া শান্তি সঙ্ঘ ক্লাবের পুজো কমিটির উদ্যোক্তা ছিলেন।
জানা গিয়েছে,বিশ্বজিৎ শনিবার ভোরবেলা মণ্ডপে গিয়ে খুঁটিনাটি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছিলেন। সে সময়ে তিনি একটি ইলেকট্রিকের তারের কোনও অংশে হাত দিয়ে ফেলেন। তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সংজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়েন পুজো মণ্ডপের মধ্যেই। কোনওমতে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা নিয়ে শোকের ছায়া স্থানীয়দের মধ্যে। দেবীর বোধনের আগেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুজো ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এদিকে, জানা যাচ্ছে, কোদালিয়া শান্তি সঙ্ঘ ক্লাবের পুজো কমিটির কোনও রেজিস্ট্রেশন ছিল না। অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই পুজোটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা। প্যান্ডেলে বিদ্যুতের লাইন বেআইনি ভাবে নেওয়া হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা ও শহরতলী এলাকা। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে নাগাড়ে বর্ষণ চলে। ফলে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। একাধিক পুজো মণ্ডপের ক্ষতি হয়। জল ঢুকে যায় প্যান্ডেলের ভিতরও। বিভিন্ন এলাকায় জমা জলে বিদ্যুতের খোলা তারে পা ফেলতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান অনেকে। মৃত্যু হয়েছে মোট ১১ জনের। কালিকাপুর, গড়িয়াহাট, বেনিয়াপুকুর, বেহাল, মোমিনপুর, নেতাজিনগর সহ একাধিক এলাকায় এভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
নেতাজিনগরে এক ফল ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয় বিদ্যুতের খুঁটির গায়ে তাঁর সাইকেল রাখার সময়ে। এদিকে, এখনও বেহালার কিছু এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। সরশুনায় দোকান খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শনিবারই মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৪ দিন পরও জল নামেনি বিভিন্ন এলাকায়। একাধিকবার কাউন্সিলর এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রশাসনিক গাফিলতির কারণেই এই মৃত্যু বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।