হাতের নোয়া খুলেই পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী মণীষা তালুকদার, দাবি আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একাদশ-দ্বাদশে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে তাঁর হাতের নোয়াটি খুলে ফেলতে বলা হয়। এরপর এই খবরটি চাউর হয়, তিনি পরীক্ষা না দিয়েই ফেরত চলে যান। তবে কল্যাণের দাবি, এসএসসির পরীক্ষার্থীর তালিকায় রয়েছেন মনীষা।
পরীক্ষার হলে সই করে পরীক্ষায় বসেন তিনি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, "পরীক্ষা হলের বাইরে অনেক প্রতিবাদ করেছেন, অথচ তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন।"
কল্যাণ এদিন বলেন, "মনীষা সিকদার, যার রোল নম্বর ১২২২৫২৯০৩০৫৭, তাঁকে ১৪০০ নম্বর ভেন্যু কোড সহ একটি স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে তল্লাশি করতে বলা হয়েছিল। প্রক্রিয়া চলাকালীন, লোহা থাকার কারণে একটি মেটাল ডিটেক্টরের বিপ বেজে ওঠে, সম্ভবত একটি লোহার বালা। তিনি প্রথমে পরীক্ষা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। কিন্তু পরে স্বেচ্ছায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফিরে আসেন।"
তাঁর আরও দাবি, "সংবাদমাধ্যম ঘটনাটি সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে, সম্ভবত ঘটনাগুলিকে অতিরঞ্জিত বা বিকৃত করে।"
রবিবার এই ঘটনাটি ঘটে কালনা হিন্দু গার্লস স্কুলে। ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় হাতের নোয়া খুলতে বলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এক SSC পরীক্ষার্থী। কোনওমতেই এই নিয়ম মানতে রাজি হননি তিনি। শেষ পর্যন্ত নোয়া না খুলে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ির পথ ধরেন। বিবাহিত ওই মহিলা পরীক্ষার্থীর বক্তব্য, 'পরীক্ষা না দিতে পারি, দেব না। কিন্ত নোয়া কিছুতেই খুলব না।' পরীক্ষার আগে ধাতব সামগ্রী খোলার নির্দেশে ছিল SSC পরীক্ষায়। কিন্তু গোল বাঁধে কালনা হিন্দু গার্লস স্কুলের পরীক্ষা সেন্টারে। এক বিবাহিত ছাত্রী হাতের নোয়া খুলতে অস্বীকার করেন। তর্কাতর্কি হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে। শেষমেষ তিনি পরীক্ষা না দিয়েই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর দেখাদেখি আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থী আপত্তি তুলতে শুরু করেন। যদিও পরবর্তীতে নোয়া খুলেই পরীক্ষায় বসেন তাঁরা।
পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে শাখা, পলা, নোয়া সহ কোনও ধাতব সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। মোট ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র ওই ছাত্রী নিয়ম মানতে রাজি না হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেননি।