এসএসসি দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন ঘিরে রাজ্যে যখন চরম অস্থিরতা, ঠিক সেই সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। জানালেন, সরকার আন্দোলনকারীদের ‘শত্রু’ নয়, বরং তাঁদের পাশে থেকেই আইন মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারি, হঠকারী কোনও পদক্ষেপ পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে এবং রিভিউ পিটিশনের প্রক্রিয়াকেও বিলম্বিত করতে পারে।
২০২৫ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা
মন্ত্রী জানান, '২০২৫ সাল পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে সরকার। রিভিউ পিটিশনের উদ্যোগও নিয়েছি আমরা। আদালতের অবমাননা যেন না হয়, সেই দিকটিও আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।' একইসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সরকারের তরফ থেকে বেতনের দায়িত্ব নেওয়া হবে।
‘এসএসসি আপনাদের জন্যই লড়ছে’
ব্রাত্য বসু বলেন, 'কালও এসএসসির মামলা রয়েছে। ওরাই আপনাদের হয়ে লড়ছে। তাই দয়া করে এমন কিছু করবেন না যাতে প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, ১৭,২০৬ জনকে ‘যোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই হিসেবেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।'
‘টার্মিনেশন লেটার এখনও দেওয়া হয়নি’
মন্ত্রী স্পষ্ট জানান, 'আজ পর্যন্ত কাউকেই বরখাস্ত করা হয়নি, বেতন বন্ধ করার কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি। তাহলে এত অস্থিরতা কেন? এমন কোনও আচরণ করবেন না যা অপ্রয়োজনীয় জটিলতা তৈরি করে।'
‘পরীক্ষার সময় কাজ ভণ্ডুল করবেন না’
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ সামনে। এই প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন, 'মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ঘেরাও করা হয়েছে, শুনছি ওষুধ ও খাবার নিতে দেওয়া হয়নি। এটা ঠিক নয়। আন্দোলন হোক, তবে যেন কারও ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল কাজে বাধা না আসে।'
‘আমরা কড়া মনোভাবের পক্ষে নই’
মন্ত্রী বারবার বোঝাতে চেয়েছেন, সরকার হিংসাত্মক বা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, 'আমরা চাই সংবেদনশীল সমাধান। হটকারিতার পথে হাঁটলে রিভিউ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যেতে পারে। সেই কারণে ধৈর্য ধরুন, আমাদের কাজ করতে দিন, আপনারাও কাজে ফিরে যান।'