SSC দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হন মধ্যশিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। বৃহস্পতিবার ৬ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন মধ্যশিক্ষা পর্যদের দীর্ঘদিনের প্রাক্তন সভাপতিকে। এদিন, গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে গাড়িতে করে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একটাই জবাব দেন কল্যাণময়। বলেন,"যেটা বলেছি, সেটাই সত্যি।"
তাঁর এই জবাব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কী সত্যি, কীই বা বলেছেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, এই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও তা বাড়িয়ে পুনরায় এই পদে ভাল রাখা হয়। দুর্নীতিতে নাম জড়ানো কল্যাণময়কে কেন মেয়াদ বৃদ্ধি করে পদে বহাল রাখা হয়, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালেই মধ্যশিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ডেকে পাঠায় সিবিআই। নিজাম প্যালেসে টানা ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, বেশকিছু বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় কল্যাণময়কে। সন্ধ্যায় তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ।
প্রায় ৬ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন কল্যাণময়। ২০১৬ সাল ওই পদে বসানো হয় তাঁকে। স্কুলে শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ মামলায় দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর নির্দেশে বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল বলে জানায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটি। সেই মামলাতেই কল্যাণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারপরও পর্ষদের সভাপতি পদে তিনি থাকায় প্রশ্ন ওঠে বিভিন্নমহলে। এরপর গত ২৩ জুন কল্যাণকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। ওই পদে আসেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।