"রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি মানতে বাধ্য হবে, মনে হয় রাজ্য খুশি মনেই মেনে নেবে", শান্তিনিকেতনে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। তিনি বলেন, "রাজ্য অনেকে কিছুই মেনে নিতে চাই না। কিন্তু সেখান থেকে লাভগুলি নেয়। যেমন জিএসটি প্রথমে মানতে চায়নি, পরে তা মেনে নিয়েছে, কারন সেখানে সব থেকে বেশি লাভবান হচ্ছে রাজ্য।"
রবীন্দ্রনাথের গায়ের রং নিয়ে মন্তব্য
সুভাষ সরকার আরও বলেন, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সমস্ত সদস্যের গায়ের রং পরিস্কার ছিল, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গায়ের রং ছিল কাল। তাই তাঁকে পরিবারের কেউ কোলেন নিতেন না। সেই রবীন্দ্রনাথই বিশ্বজয় করেছিলেন।" সুভাষ সরকারের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্ক ছড়ায় বিভিন্নমহলে। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পালটা দেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, "সুভাষ সরকারের কি রবীন্দ্রনাথের আগে জন্ম? উনি কি রবীন্দ্রনাথকে দেখতে গিয়েছিলেন? ওঁরা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছুই জানে না।"
আফগানিস্তান নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ
এদিন আফগানিস্তান (Afghanistan) পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বেঁধেন সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, "আফগানিস্তান নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কারণ তারা পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে।" একইসঙ্গে ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূল (TMC) নাটক করছে বলেও অভিযোগ করেন সুভাষ সরকার।
অনুব্রতর পালটা চ্যালেঞ্জ
অন্যদিকে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বভারতীতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। এমনকী উপাচার্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকের সময়েও তিনি উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বলেন, "বিশ্বভারতীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসতেই পারেন। কিন্তু বিজেপি সভাপতি সেখানে থাকায় বিশ্বভারতীকে পার্টির আখড়া করে তোলা হয়েছে। এবার থেকে তৃণমূলও সেখানে মিটিং করবে। উপাচার্য পারলে রুখে দেখান।"