আরজি করকাণ্ডের পর ধর্ষণ রুখতে কড়া আইনের পথে হাঁটে রাজ্য সরকার। বিধানসভায় পাশ করা হয় অপরাজিতা বিল। কিন্তু সেই বিল কার্যকর করার জন্য দরকার রাষ্ট্রপতির অনুমোদন। এবার এই নিয়ে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হল বাংলার শাসকদল। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে ১১ জনের সদস্যদল রাষ্ট্রপতি ভবনে যায়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সংবাদমাধ্যমে সুদীপ বলেন, 'বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাশ করার পরও অপরাজিতা বিলে অনুমোদনে বিলম্ব হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানাব।' রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সুদীপ বলেন, 'উনি বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।'
অন্য দিকে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, 'শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। আমরাও চাই কঠোরতম শাস্তি পাক অপরাধী। যেখানে সরকার নিজেই দায়িত্ব নিয়ে প্রমাণ লোপাট করে দিচ্ছে, সেখানের আইনের মূল্য কী থাকবে।'
বিলটিতে কী কী প্রস্তাব রয়েছে?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন বিলে ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার (BNS) কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে ৬৪, ৬৬, ৬৮, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩ ও ১২৪ ধারাগুলোতে সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বা BNSS-এর ১৯৩ এবং ৩৪৬ ধারা সংশোধন করার প্রস্তাব রয়েছে। যেখানে, POCSO আইনের ধারা ৪, ৬, ৮, ১০ এবং ৩৫-এ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। আবার মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানার বিধানও রয়েছে। গণধর্ষণ মামলার সব দোষীকে ন্যূনতম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এতেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ হবে অপরাধী জীবিত অবস্থায় জেল থেকে বের হতে পারবে না। মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান রয়েছে। জরিমানাও করা হবে।