Advertisement

Sunderban Bengal tiger: সুন্দরবনের সেই গ্রামে ফের বাঘের গর্জন-পায়ের ছাপও, ভয়ে কাঁপছে মৈপীঠ

ভোরবেলা আবর্জনা ফেলতে গিয়ে প্রথম পাগমার্ক দেখেন গ্রামবাসীরা। অনেকেই জানান, রাস্তার পাশে পায়ের ছাপ দেখা গেছে। অনেকের বাড়ির আশপাশেও পায়ের দাগ। গর্জনের শব্দও শুনেছেন বহু মানুষ। জানা গেছে গতবছরও এসময়ে বাঘ ঢুকেছিল গ্রামে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 28 Nov 2025,
  • अपडेटेड 10:37 AM IST
  • ভোরের নরম আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ত্রস্ত হয়ে উঠল সুন্দরবনের মৈপীঠ।
  • বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীমোহনপুর গ্রামের শ্রীকান্তপল্লিতে রাস্তার ধারে স্পষ্ট রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ দেখে চমকে ওঠেন গ্রামবাসীরা।

ভোরের নরম আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ত্রস্ত হয়ে উঠল সুন্দরবনের মৈপীঠ। বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীমোহনপুর গ্রামের শ্রীকান্তপল্লিতে রাস্তার ধারে স্পষ্ট রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ দেখে চমকে ওঠেন গ্রামবাসীরা। এরপর দুঘণ্টারও বেশি সময় তল্লাশি চালিয়ে একটি খালের ধারে বিশ্রামরত বাঘটিকে চোখে পড়ে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে।

ভোরবেলা আবর্জনা ফেলতে গিয়ে প্রথম পাগমার্ক দেখেন গ্রামবাসীরা। অনেকেই জানান, রাস্তার পাশে পায়ের ছাপ দেখা গেছে। অনেকের বাড়ির আশপাশেও পায়ের দাগ। গর্জনের শব্দও শুনেছেন বহু মানুষ। জানা গেছে গতবছরও এসময়ে বাঘ ঢুকেছিল গ্রামে।

বাঘের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বনদফতর ও মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। টাইগার রেসকিউ টিমও পাগমার্ক ধরে বাঘটিকে খুঁজছে। বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, আজমলমারি ১১ নম্বর জঙ্গল থেকে বাঘটি বেরিয়েছে। ঠাকুরাণ নদীর একটি শাখা পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকেছে। নদীপথে বাড়ানো হয়েছে পেট্রলিং। গ্রামে কড়া নজরদারি, টহল ও রাত পাহারা বাঘ যাতে আর ভেতরে না ঢুকে পড়ে, তার জন্য গ্রামবাসীরা লাঠি হাতে রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছে। বনদফতরও রাতে পটকা ফাটিয়ে বাঘকে দূরে রাখার প্রস্তুতি নিয়েছে।

জঙ্গলের নিকটবর্তী গ্রাম হওয়ায় শীতের শুরু থেকেই বাঘ প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে গ্রামবাসীদের উদ্বেগ তুঙ্গে, বাঘ এখনও জঙ্গলে ফিরে গেছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের সীমান্তবর্তী মৈপীঠে ফের বাঘ-আতঙ্কে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement