Advertisement

Sunderbans Tiger Reserve: বাংলায় ১০০টি বাঘ, বলছে কেন্দ্র, সুন্দরবনেই অন্তত ১২৪, দাবি রাজ্যের

কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবনে এখন ১০০টিরও বেশি বাঘ রয়েছে। গতকাল রবিবার, সারা দেশে বাঘশুমারি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'বাঘের অবস্থা ২০২২' শীর্ষক রিপোর্টটি 'প্রজেক্ট টাইগার'-এর ৫০ বছর স্মরণে মহীশূরে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন। তাতেই দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে ১০০টি বাঘ রয়েছে। কিন্তু ওই রিপোর্ট পূর্নাঙ্গ নয়, দাবি রাজ্যের।

ফাইল ছবি।
সুকমল শীল
  • কলকাতা ,
  • 10 Apr 2023,
  • अपडेटेड 3:30 PM IST
  • কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবনে এখন ১০০টিরও বেশি বাঘ রয়েছে।
  • গতকাল রবিবার, সারা দেশে বাঘশুমারি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবনে এখন ১০০টিরও বেশি বাঘ রয়েছে। গতকাল রবিবার, সারা দেশে বাঘশুমারি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'বাঘের অবস্থা ২০২২' শীর্ষক রিপোর্টটি 'প্রজেক্ট টাইগার'-এর ৫০ বছর স্মরণে মহীশূরে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন। তাতেই দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে ১০০টি বাঘ রয়েছে। কিন্তু ওই রিপোর্ট পূর্নাঙ্গ নয়, দাবি রাজ্যের।

কেন্দ্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সুন্দরবন জুড়ে ১০০টি ভিন্ন বাঘের ছবি তোলা হয়েছে। ছবিগুলি সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ এবং দক্ষিণ ২৪-পরগনা রেঞ্জের বাঘেদের। প্রতি চার বছর অন্তর বাঘের দেশব্যাপী গণনা করা হয়। রাজ্য বন বিভাগের একজন প্রবীণ আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২২ সালের গণনার সময় সুন্দরবনে কমপক্ষে ১০০টি বিভিন্ন বাঘের ছবি তোলা হয়েছিল। ম্যানগ্রোভ বনের কৌশলগত স্থানে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছিল বাঘের ছবি তোলার জন্য।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে দাবি বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তিনি 'আজতক বাংলা'কে বললেন, 'মাত্র তিনটে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। মোট ৬টা রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার কথা। সব রিপোর্ট পেলেই আসল সংখ্যা জানা যাবে। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। আসলে সুন্দরবনে ১২৪-১২৮টি বাঘ আছে।

ন্যাওড়াভ্যালি, মহানন্দ, চাপড়ামারি, বাক্সা এসব জঙ্গলের উল্লেখ নেই রিপোর্টে। এছাড়াও সুন্দরবনে ৫টি ছোট দ্বীপ রয়েছে যেগুলিতে ৪টে নতুন বাঘ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। লাগাতার ম্যানগ্রোভা লাগানোর জন্যই বেড়েছে বাঘের সংখ্যা।'
রাজ্যের মুখ্য ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন দেবল রায়ও 'আজতক বাংলা'কে বলেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট এসে আসল সংখ্যা বলা যাবে। তখন ব্লক ধরে ধরে বাঘের সংখ্যা বলা যাবে। 

দুটি ঘূর্ণিঝড় - ২০২০ সালে আম্ফান এবং ২০২১ সালে ইয়াসের মধ্যেও বাঘ বেড়েছে। এবং তাঁদের শিকারের ঘাঁটি কমবেশি অক্ষত রয়েছে। দুটি ঘূর্ণিঝড়ের সময়, ম্যানগ্রোভ এবং অন্যান্য উদ্ভিদের বড় অংশ, যার মধ্যে হরিণ এবং বন্য শুয়োরের মতো তৃণভোজী প্রাণীর শিকার করতে পারেনি বাঘেরা। তার আগে ২০১৮ সালে সর্বভারতীয় বাঘ শুমারিতে সুন্দরবনে ৮৮টি বাঘ গণনা করা হয়েছিল।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে খবর,  ঘূর্ণিঝড়ের সময় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ম্যানগ্রোভের ক্রমাগত সংরক্ষণ প্রচেষ্টা এবং প্রতিস্থাপনের কারণে বিষয়টি সম্ভব হয়েছে। সূত্রের খবর, ১০৯০-এর দশকে সুন্দরবনের লোকজনের বিয়েতে  হরিণের মাংস না দেওয়াটাই অস্বাভাবিক ছিল। বন্য প্রাণী হত্যা তখনও নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু সুন্দরবন জুড়ে মানুষ ব্যাপকভাবে হরিণ শিকার করত। এখন সচেতনতা বেড়েছে। যেকারণে শাবকের সংখ্যা মিলিয়ে দেখলে সুন্দরবনে ১৩০-১৪০টি বাঘ থাকাও অসম্ভব নয়।

আরও পড়ুন-দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১৬৭, নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ PM মোদীর

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement