Supreme Court-Civic Volunteer: হাসপাতাল ও স্কুলের মতো জায়গায় যাতে সিভিক ভলান্টিয়ার না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার আরজি কর কেসের শুনানি ছিল সর্বোচ্চ আদালতে। সেই শুনানি চলাকালীনই সিভিক ভলান্টিয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিল। সেই প্রসঙ্গেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগের পদ্ধতি জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই সরকারের পুলিশের প্রশাসনিক অর্ডারের অধীনে নিযুক্ত হয়েছিল। তাকে হাসপাতালে পোস্টিং দেওয়া হয়নি। তাই এমনটা নয় যে তাকে বেছে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তার উপর নজরদারি চালানোর কেউ ছিল না।
বিচারপতি এরপর জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গে মোট সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা কত, তাদের নিয়োগের পদ্ধতি কী? নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী জানান ১,৫৪০। সরকারের আইনজীবী জানান, পুলিশের প্রশাসনিক পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হয়েছে।
এরপরেই উল্টো দিকের আইনজীবী বলেন, 'এদের কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশন করা হয়নি। অভিযুক্তের এর আগে গার্হস্থ্য হিংসার রেকর্ড ছিল।' তাঁরা আরও দাবি করেন, সিবিআই-এর চার্জশিট অনুযায়ী সঞ্জয় রাই আরজি কর হাসপাতালেই পোস্টেড ছিল।
এরপরেই বিচারপতি জানতে চান, ঠিক কোন আইনের ভিত্তিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, তাঁদের কী ভেরিফিকেশন করা হয়, নূন্যতম যোগ্যতা, কোথায় ট্রেনিং হয় এবং বেতন কোন ভিত্তিতে- দৈনিক না মাসিক ভিত্তিতে করা হয় সব জানাতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের নিয়োগের জন্য সিলেকশন প্রসেস, অর্থাৎ কী পরীক্ষা নেওয়া হয় তা স্পষ্ট করতে হবে। সেই সঙ্গে এই ধরনের ভলান্টিয়াররা যাতে হাসপাতাল ও স্কুলের মতো স্পর্শকাতর জায়গাতে কোনওভাবে নিয়োগ না করা হয়, তার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানাতে হবে।