সুতপা চৌধুরী খুনে ফাঁসির সাজা হল সুশান্তর। খুনের খুনের ১৫ মাসের মাথায় মঙ্গলবার শুনানি ছিল বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে। সেখানে বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ছিলেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ।
৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মৃতার বাবা-সহ সাক্ষ্য দেন ২০২২ সালের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, সাংবাদিক, একটি ই-কমার্স সংস্থার কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এবং পুলিশ। গোরাবাজার এলাকার বাসিন্দা তথা ওই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বান্টি ইসলাম আদালতে নিজের চোখে দেখা ঘটনার সাক্ষী দেন। এরপরে আদালত খুনি সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। এবং ফাঁসির সাজা শোনায়।
অন্যদিকে, সুশান্তর আইনজীবীরা দাবি করেন, আবেগের বশে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁর মক্কেল। তাঁর বয়স কম। তাঁকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক। দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা হবে বলে জানান বিচারক।
উল্লেখ্য, গত বছর ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোড দিয়ে মেসে ফিরছিলেন সুতপা। সিসি ক্যামেরাতে দেখা যায় তাঁকে অনুসরণ করছে এক যুবক।
পরে ওই যুবকের পরিচয় সামনে আসে। সে সুশান্ত। মেসের দরজার সামনেই সুতপার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় ছাত্রীকে। এমন নৃশংস ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পর দিনই গ্রেফতার হয় সুশান্ত। জানা যায়, সুতপার পূর্বপরিচিত তিনি। সম্পর্কের জটিলতার জেরে খুন করে প্রেমিকাকে।