জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের 'ফিনিশিং' মোটেও পছন্দ হয়নি। এমনটাই বললেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাজ্যে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সরকারি অনুষ্ঠানের পর বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে মিটিং করবেন। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তুললে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কথা। তাঁর কথায়, আন্দোলনের 'অপমৃত্যু ঘটেছে'। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য পড়ুন, ৮টি পয়েন্টে:
- 'আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি আমাদের রাজ্য় সভাপতি পার্টির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সেটা কী? যে বিজেপি পতাকা নিয়ে লড়বে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা পতাকা থাকবে না, সেখানে বিজেপির যেতে কোনও আপত্তি নেই। কর্মী-সমর্থক-ভোটাররা যান। ১৯, ২১ এবং ২৪ এই তিনটি নির্বাচনে এই রাজ্যে ২ কোটি ৩০, ২ কোটি ২৮ এবং ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোট পাওয়া প্রধান বিরোধী দল-একমাত্র বিরোধী দল, তাকে এবং তার ভোটার সমর্থকদের বাদ দিয়ে কোনও সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল হতে পারে না।'
- 'তাই বাম এবং অতিবাম, যাঁরা কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি বলে কলকাতায় স্লোগান দিয়েছিলেন তাঁরা এই আন্দোলনের অপমৃত্যু ঘটিয়েছেন। '
- 'আর জুনিয়র ডাক্তারদের সব আমার ভাল লেগেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে সভা করা, তাঁর বাড়িতে গিয়ে সভা করা আমিও ভালভাবে নিইনি, মানুষও ভালভাবে নেয়নি। কারণ এই ঘটনার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা, অর্থ দিয়ে পরিবারকে কেনার চেষ্টা করা, নানাভাবে... অনেক তো হল এবার উৎসবে ফিরুনের মতো খুব হাল্কা চালে উপহাসের সুরে কথা বলার মধ্যে দিয়ে... তিনি এই ঘটনার জন্য জায়ী।'
- 'জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন যখন চরমে ছিল, তখন এই সরকার যখন চাপে ছিল, তখন ২৭ অগাস্ট জুনিয়র ডাক্তাররা, ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণ না করে প্রথম ভুল করেন। '
- 'দ্বিতীয় ভুল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়- যিনি আসল দোষী, তাঁর সঙ্গে মিটিং করা। তাঁরা অন্যভাবেও সরকারের সঙ্গে মিটিং করতে পারেন। আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী বসে আছেন। তিনি সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন, আবার যাবেন।যখন ভারতবর্ষের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের চুক্তি হয়, সেই চুক্তি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী সই করেন না। আধিকারিক লেভেলে হয়। তাই মুখ্য়সচিব, স্বাস্থ্যসচিব এমনকি সাংবিধানিক প্রধান গভর্নরের মধ্যস্থতার দাবি করা উচিত ছিল। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিবের মধ্যস্থতার দাবি করা উচিত ছিল। মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান -যিনি ব্যুরোক্র্যাট(আমলা) তাঁর মধ্যস্থতা দাবি করা উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে তাঁর মধ্যস্থতায় আলোচনা যে ফলপ্রসূ হতে পারে না, অশ্বডিম্ব হবে, তা প্রমাণ হয়েছে।'
- 'আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন রেজিস্টার্ড মিথ্যাবাদী। যে লাইভস্ট্রিমিংয়ের জন্য প্রথমদিন বৈঠক ভন্ডুল হয়, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আছে, লাইভস্ট্রিম করা যাবে না, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরে লাইভস্ট্রিমিং করেন। তখনও কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ফাইনাল জাজমেন্ট আসেনি।'
- 'তাই জুনিয়র ডাক্তারবাবুদের আন্দোলনের একাগ্রতা, শুরুটা খুব ভাল, ফিনিশিংটা খুব খারাপ। তাই আমি মনে করি, এই আন্দোলনের অপমৃত্যু ঘটেছে।'
- 'ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়বে না। দীপাবলির পরে, ইতিমধ্য়ে আমরা ৫০ লাখ স্বাক্ষর পেয়েছি, ওটা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে... তারপরে সভাপতি কল নেবেন, রাষ্ট্রীয় নেতারা থাকবেন, কলকাতায় বড় জমায়েত হবে এবং আমরা যা স্বাক্ষর পেয়েছি, মাথায় করে MP, MLA-রা নিয়ে, রাজ্যপাল, সাংবিধানিক প্রধানের কাছে পৌঁছে দেব - দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।'