সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ও হাইকোর্টের (High Court) একের পর এক নির্দেশ নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে লেখা, "আজকের ফলাফল ৫/০"। এরপর বুধবার সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের ৫টি নির্দেশেকে একের পর এক তুলে ধরেছেন তিনি।
ওই পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী আরও লেখেন, "দীঘার নোনা হাওয়ায় একটু মিষ্টি খবরের আশায় ছিলেন মাননীয়া। কিন্তু একের পর এক ধাক্কায় ওনার স্বপ্নের নৌকা টালমাটাল! আইনের চোখে সবাই সমান এবং কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়; মাননীয়া এই কথাটা আপনি আর ভাইপো শ্রী বুঝলে, রাজ্য সরকারের কোষাগারের কিছু অর্থ সাশ্রয় হবে। বড়ো বড়ো উকিল সাহেবদের এই সব মামলা লড়াতে যে টাকা আপনারা ব্যয় করছেন তার পুরোটাই এই রাজ্যের করদাতারা দিচ্ছেন এটা মনে রাখবেন"।
পোস্টে একের পর এক ৫টি মামলার কথা তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, "মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল কংগ্রেস সহ ১৪ টি বিরোধী দল জোর ধাক্কা খেল। ইডি-সিবিআই এর মত কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের মামলা গ্রহণই করলেন না শীর্ষ আদালত"। এরপর তিনি লেখেন, "মহমান্য সুপ্রিম কোর্টে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দাখিল করা স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) খারিজ করলেন সম্মাননীয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ"।
অন্যদিকে হাইকোর্টের মামলা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা লেখেন, "মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ; পশ্চিমবঙ্গে নির্বিঘ্নে হনুমান জয়ন্তী পালনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিক সরকার"। এরপর শুভেন্দু লেখেন, "পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের বাকচা এাকায় বিজেপি কে রাজনৈতিক জনসভার অনুমতি দিলেন মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট"। আর সবশেষে শুভেন্দু লেখেন, "পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরির ঠাকুরনগরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার পাল্টা সভা করার অনুমতি পেয়ে গেল বিজেপি। আজই উক্ত রাজনৈতিক জনসভার অনুমতি দিলেন মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট"।
আরও পড়ুন - বৃহস্পতিতেও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে বাতিল প্রচুর লোকাল, শিয়ালদা শাখায়ও দুর্ভোগ