যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বললেন, '১৫ এপ্রিলের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের তালিকা দিতে হবে। না দিলে ২১ তারিখ লক্ষ মানুষ নবান্নে যাবে। আপনাকে চেয়ার থেকে টেনে নামাবো। ঘাড়ধাক্কা দিয়ে আপনাকে বাংলার বাইরে পাঠাব।'এদিন, চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। তাঁদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। বলেন, 'আপনারা আদালতে যান, আমরা আইনজীবী দেব। যাঁরা যোগ্য, তাঁরা যে আইনজীবী চাইবেন, আমরা দেব।'
মমতাকে ফের নিশানা শুভেন্দুর
চাকরি বাতিল নিয়ে এদিন ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। বলেছেন, '২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকেন, তা মুখ্যমন্ত্রী। এসএসসির অটোনমি শেষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদেরও বলি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কতগুলো প্রশ্ন করতে চাই, এক, আপনি সরাসরি প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করেছেন...একবারও যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা দেননি। আপনি অপরাধী...আপনি বলছেন যোগ্যদের পাস দিয়েছি, যোগ্যরাই ভিতরে গিয়েছেন। আপনি সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য তালিকা ফেলুন। তা হলে দুধ আর জল আলাদা হবে। আমরা এটা আপনার কাছে আশা করি। সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের হয়ে আপনি জনস্বার্থ মামলা করুন। অনুরোধ করব, আপনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আইনজীবী হিসাবে যোগ্যদের তালিকা হাতে নিয়ে যান। যদি না করতে পারেন, ২৩ লক্ষ ভাইবোনেদের আবার পরীক্ষায় বসতে হবে...।'
চাকরিহারাদের মধ্যে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য, এই বিতর্কের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠকে প্রায় ৭ হাজার জনকে পাস দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই আবহে শুভেন্দুর দাবি, 'ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সমস্ত টেন্টেড শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। ওখানে সাত লক্ষ ভোটে জিতেছে, এই নিয়ে আমি আরটিআই করেছিলাম, কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি। এবার আমি আদালতে যাব।'
শুভেন্দু আরও বলেছেন, 'অমানবিক সরকার, বর্বর সরকার, টাকা ছাড়া অন্য কিছু চেনে না। এরা ৭ হাজার পাস দিয়েছে। কাদাপাড়ায় তৃণমূল অফিস থেকে পাস দিয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'এরা কেউ প্রকৃত মেধাযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মী নন...এরাই চব্বিশে ভোট করেছে। ভোট লুটের কাজও করেছে।' তাঁর কথায়, 'এই ৭ হাজার বৈধ! এই তালিকা সুপ্রিম কোর্টে দিলেই তো পারতেন!'