Advertisement

Suvendu Adhikari: 'এক টাকাও দেবেন না,' হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কীভাবে টোটো চালকদের মন পাওয়ার চেষ্টা?

রাজ্যে টোটোর রেজিস্ট্রেশন পরিকল্পনা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল। পরিবহণ দফতর সম্প্রতি জানিয়েছে, এখন থেকে টোটো চালাতে হলে সরকারের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য চালকদের দিতে হবে ১,০০০ টাকা ফি, এবং প্রতি মাসে আরও ১০০ টাকা করে জমা দিতে হবে।

টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।-গ্রাফিক্স: সৌমিক মজুমদারটোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।-গ্রাফিক্স: সৌমিক মজুমদার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 14 Oct 2025,
  • अपडेटेड 5:52 PM IST
  • রাজ্যে টোটোর রেজিস্ট্রেশন পরিকল্পনা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল।
  • পরিবহণ দফতর সম্প্রতি জানিয়েছে, এখন থেকে টোটো চালাতে হলে সরকারের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হবে।

রাজ্যে টোটোর রেজিস্ট্রেশন পরিকল্পনা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল। পরিবহণ দফতর সম্প্রতি জানিয়েছে, এখন থেকে টোটো চালাতে হলে সরকারের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য চালকদের দিতে হবে ১,০০০ টাকা ফি, এবং প্রতি মাসে আরও ১০০ টাকা করে জমা দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের পর প্রত্যেক টোটোকে একটি কিউআর কোড সরবরাহ করা হবে, যা ছাড়া রাস্তায় চলাচল করা যাবে না।

মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু কটাক্ষ করে জানান, রাজ্যের ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করা সরকার এখন গরিব টোটোচালকদের থেকে টাকা তুলছে। রাজ্যে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের কাছ থেকে ১,০০০ টাকা করে নেওয়া মানে প্রায় ৫০ কোটি টাকা তোলা। 

শুভেন্দুর অভিযোগ, 'রাজ্যে বিএসসি, এমএ পাশ করা শিক্ষিত যুবকেরা এখন টোটো চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। রোদ, বৃষ্টি, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁদের দিন কাটে। মুখ্যমন্ত্রী পুজোয় দয়ার সাগর হয়ে ১০,০০০ টাকা অনুদান দেন, কিন্তু একই সরকার টোটোচালকদের কাছ থেকে মাসে টাকা করে আদায় করতে চায়! আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, এই ফি মকুব করুন। টোটোচালকদের বলির পাঁঠা বানাবেন না।'

বিজেপি নেতার আরও দাবি, রাজ্যে টোটো ব্যবসা এখন 'মহাজনী নিয়ন্ত্রণে' চলে গেছে। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি একসঙ্গে ১০০–১৫০টি টোটো কিনে রাখেন এবং চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০০–২০০ টাকা করে আদায় করেন। এভাবে জমিদারদের যুগ আবার ফিরে এসেছে। তাঁর কথায়, 'নিরুপায় মানুষ যারা নিজেদের টোটো চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করাবেন না, মাসে মাসে টাকা নেবেন না।'

শেষে বিরোধী দলনেতা সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, 'টোটোচালকরা এক টাকাও দেবেন না। আমরা বিজেপি তাঁদের পাশে আছি।' রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা টোটোচালকদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ, যা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিলেন অনেক টোটোচালকই।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement