Advertisement

Birbhum: ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, বীরভূমে মৃত ১

তৃণমূল সুপ্রিমো দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দলনেত্রীর নির্দেশের পরেও মাঝেমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ ওঠে। আর সেই বিষয়ে একাধিকবার উঠে আসে বীরভূম জেলার নাম।

বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলবীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল
প্রীতম ব্যানার্জী
  • কলকাতা,
  • 09 Nov 2025,
  • अपडेटेड 6:28 PM IST
  • তৃণমূল সুপ্রিমো দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তৃণমূল সুপ্রিমো দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দলনেত্রীর নির্দেশের পরেও মাঝেমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ ওঠে। আর সেই বিষয়ে একাধিকবার উঠে আসে বীরভূম জেলার নাম। এই জেলা থেকে মাঝেমধ্যেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসে। এবারও সেই একই অভিযোগ বীরভূম থেকে। ছাগলের ধান খাওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ লাভপুরে। সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই একজন মারা গিয়েছে বলে খবর।

বীরভূমের লাভপুরের কুসুমগরিয়া গ্রামে ছাগলের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় একজন মারা গিয়েছেন। মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আব্দুর রহিম মল্লিক, বয়স ৬৫। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর, লাভপুরের কুসুমগরিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল নেতা সাগর শেখ ও পটল মল্লিকের গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত মঙ্গলবার সাগর গোষ্ঠীর ধানের জমিতে পটল গোষ্ঠীর ছাগলের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। প্রথমে কথাকাটাকাটি হলেও ধীরে ধীরে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। তবে রাতের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযোগ, বুধবার সকালে ফের দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ  শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষে উভয় গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন আহত হন।  

এই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর মোট ৬ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সিউড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় আব্দুর রহিম মল্লিক। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, ছাগলে ধান খাওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলায় তৃণমূল নেতা তথা চৌহাট্টা মহাদর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পটল মল্লিক, তার ছেলে কিরণ মল্লিক ও লাভপুর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিরণ মল্লিক-সহ তাদের দলবল আব্দুর রহিমকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। অভিযুক্তদের মদতদাতা হিসেবে উঠে এসেছে জেলার তৃণমূল সহসভাপতি আব্দুল মান্নানের নামও। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই দুই পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই থমথমে এলাকা। লাভপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই পক্ষের মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। নতুন করে অশান্তি যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।

Advertisement

রিপোর্টার-শান্তনু হাজরা
 

Read more!
Advertisement
Advertisement