প্রাথমিকে নিয়োগে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা বা টেট ঘিরেও বিতর্ক শুরু হল। রবিবার টেট চলাকালীন সমাজমাধ্যমে একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, 'টেটের প্রশ্ন ফোন করে বিক্রি হয়েছে।' তবে এই ঘটনাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলতে নারাজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
ঠিক কী ঘটেছে?
রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের মধ্যেই রবিবার প্রাথমিকের টেট হয়। পরীক্ষা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। পর্ষদের দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া নজরদারি চালানো হয়েছিল। OMR শিট নিরাপদে রাখার জন্য কড়া পুলিশি পাহাড়াও ছিল। পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, টেট চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। যা ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কী বলেছেন শুভেন্দু?
এই প্রসঙ্গে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'ফোন করে টেটের প্রশ্ন বিক্রি করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের আত্মীয়দের মোবাইল নিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ টাকা নিয়ে করেছে। কেউ চাকরি পাবেন না।' তাঁর আরও সংযোজন, '২০১৭ সালের টেটের নিয়োগ হয়নি। ২০২২ সালের টেটেও নিয়োগ হয়নি।'
কী বলেছেন পর্ষদ সভাপতি?
প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, 'এটাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলে না। কারণ যে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই সময় পরীক্ষার্থীরা হলের ভিতরে ছিলেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি মোবাইল রেখে যাতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে ঢোকেন। পর্ষদকে কলুষিত করতে ইচ্ছাকৃত এটা করেছে কেউ।'
কী বলেছে তৃণমূল?
এই ঘটনায় বিজেপি ও সিপিএমকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'বহু জায়গায় এমন কোনও ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা কেউ বিজেপি বা সিপিএম সমর্থক, তাঁরা এই কাজ করতে পারেন। অন্তর্ঘাতের জন্য এ কাজ করতে পারেন।'