Advertisement

Marishda: 'পদত্যাগ করতে বলতে পারেন না', অভিষেকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেও পদ ছাড়লেন প্রধান

রবিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির সঙ্গে বৈঠকের পর পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র পদ ছাড়েন। শনিবার কঁথির জনসভায় ওই তিন জনের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক।

পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেকপঞ্চায়েত প্রধানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেক
Aajtak Bangla
  • মারিশদা,
  • 04 Dec 2022,
  • अपडेटेड 4:46 PM IST
  • শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি যাওয়ার পথে জনতার মাঝে মিশে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
  • বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শুনেছেন অভাব-অভিযোগ

শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি যাওয়ার পথে জনতার মাঝে মিশে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শুনেছেন অভাব-অভিযোগ।  মারিশদায় তাঁকে কাছে পেয়ে পানীয় জল থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পের সুবিধে না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।  গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনে ২ পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেক। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হল না, অভিষেকের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করলেন কাঁথি ৩ নম্বর ব্লকের মারিশদা ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র।

 রবিবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির সঙ্গে বৈঠকের পর ওই তিন জন অর্থাৎ পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র পদ ছাড়েন। শনিবার কঁথির জনসভায় ওই তিন জনের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক।

 এর আগে অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন না।  সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঝুমুরানি বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে প্রধান হয়েছি। আমাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না। জনগণের বললে নিশ্চই ইস্তফা দেব’। যদিও শেষপর্যন্ত এদিন তিনি পদত্যাগ করেন। 

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত শনিবার কাঁথির সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে মারিশদায় গ্রামে নামেন অভিষেক। অভিষেককে দেখে ঘিরে ধরেন গ্রামের মহিলারা। বলেন, ‘আমরা কিছুই পাইনি।’ ভাঙা বাড়ি দেখিয়ে বলেন, ‘এই বাড়িতে জল পড়ে। রাস্তা খারাপ। তার মধ্যেই রয়েছি।' একথা শুনে অভিষেক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর পর তিনি চলে যান কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে, সভাস্থলে। সভায় বক্তব্য রাখার সময় মারিশদার বাসিন্দাদের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, একটা পঞ্চায়েতে কাজ না হলে প্রধান – উপ প্রধানের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতিও দায়ী। আমি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান – উপ প্রধানের পদত্যাগ পত্র আমার টেবিলে চাই। নইলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement