Advertisement

বিধিকে বুড়ো আঙুল, পাহাড়ে ঘুরছে বহিরাগতরা, উদ্বেগ

অনুমতি ছাড়াই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু বহিরাগত। এমনকী কিছু গাড়িচালক মুনাফার লোভে তাদের সঙ্গ দিচ্ছে। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

নিয়মকে বুড়ো আঙুল, পাহাড়ে ঘুরছে বহিরাগতরানিয়মকে বুড়ো আঙুল, পাহাড়ে ঘুরছে বহিরাগতরা
কায়েশ আনসারী
  • কার্শিয়ং,
  • 17 Jun 2021,
  • अपडेटेड 4:53 PM IST
  • অনুমতি ছাড়াই অবাধে বিচরণ বহিরাগতদের
  • একাধিক গাড়ি-বাইকের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের
  • চিকিৎসার নামে এসে ভাড়া তুলছে গাড়িচালকরা

অনুমতি ছাড়াই ঘোরাঘুরি

অনুমতি ছাড়াই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু বহিরাগত। এমনকী কিছু গাড়িচালক মুনাফার লোভে তাদের সঙ্গ দিচ্ছে। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

নিয়মকে বুড়ো আঙুল

আরও পড়ুন

লকডাউন পরিস্থিতি ঘোষণা হওয়ার পরও পাহাড় জুড়ে যানবাহনের গতিবিধি যতটা কমার কথা ছিল, তা কমেনি। ফলে খোঁজ খবর করতে নেমে দেখা যায়, নিয়মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে একদল লোক।কার্শিয়ং স্টেশন লাগোয়া মোটর স্ট্যান্ডের সামনে ট্রাফিক বুথ-এ দাঁড়িয়ে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে হাতেগরম উদাহরণ মিলেছে ভুরিভুরি।

মিথ্য়ে কথা বলে পাহাড়ে ঘোরাঘুরি

দেখা গিয়েছে যে অনেক গাড়ি, যা শহরে চলাচল করছে সেগুলি বেশিরভাগই শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফের শিলিগুড়ির দিকে ফিরে আসছে। একটি গাড়িকে দাঁড় করিয়ে গতিবিধি জিজ্ঞাসা করায় চালক জানায় তারা দার্জিলিং থেকে ফিরে আসছে। চালক জানায় চিকিৎসার জন্য সে গাড়ি নিয়ে দার্জিলিং গিয়েছিল। শিলিগুড়ি থেকে রোগীকে পৌঁছে দিয়ে এসেছে বলে জানায়। অথচ পরক্ষণেই পাঙ্খাবাড়ি রোডে দাঁড়িয়ে সে ৩০০টাকা মাথাপিছু যাত্রী তুলেছে। কার্শিয়াং থেকে শিলিগুড়ির গাড়িভাড়া যেখানে ১২০ টাকা সেখানে এই অতিমারী পরিস্থিতিতেও চালক দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া নিয়েছে।

মামলা দায়ের পুলিশের

অন্য একটি বাইক আরোহী দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা জানায় বন্ধুর সাথে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে কার্শিয়ং এসেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে সে মালদা থেকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে এসেছিল। সুযোগ মিলতেই আজ সে ঘুরতে পাহাড়ে চলে আসে। শিলিগুড়িতে পুলিশ তাকে আটকায়নি। যেহেতু সেখানে চিকিৎসার কাগজপত্র ছিলষ। কিন্তু কার্শিয়ংয়ে ঘুরে বেড়ানোর যথেষ্ট কারণ না থাকায় পুলিশ মামলা দায়ের করে।

জেরার মুখে খেই হারিয়েছে অভিযুক্তরা

পাশাপাশি একটি প্রাইভেট গাড়ি আটকায় পুলিশ। তারা রায়গঞ্জ থেকে এসেছিল। সে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সে দার্জিলিং-এ তার বন্ধুর বাড়িতে থাকছিল। বিজনবাড়িতে তার বন্ধু থাকে। তাকে বন্ধুকে ফোন করতে বললে  সে তার বন্ধুকে ফোন করে জানায় ফোন নেটওয়ার্ক সীমানার বাইরে আছে, ফোন লাগছে না। আসলে এসবই ঘুরে বেড়ানোর কৌশল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এইভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরে বেড়ানোতে করোনা সংক্রমণ খুব একটা কমছে না পাহাড়ে বলে মত স্বাস্থ্য কর্তাদের।

Advertisement

অনুমতি পত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ

পুলিশ প্রতিটি গাড়ির, এমনকী যে সমস্ত গাড়িতে সরকারি ডিউটি লেখা রয়েছে, তাদের কাছেও অনুমতিপত্র যাচাই করেছে। সঠিক কাগজ দেখাতে না পারলে জরিমানা করা হয়েছে। কিছু গাড়িতে এক্সাইজ ডিউটি লেখা। অনুমতি পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে।.এভাবেই আইন ও বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে জনতা। সমস্যায় ফেলছে অন্য়দেরও।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement