ভোটের দিন ঘোষণা হতে না হতেই কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আসনে ঘাসফুল প্রার্থী হচ্ছেন আলিফা আহমেদ। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদেরই কন্যা তিনি। আগামী ১৯ জুন এই আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২৩ জুন।
২০১১ সালে নাসিরুদ্দিন তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে পরাজিত হন তিনি। পরে ২০২১ সালে আবার টিকিট পেয়ে কালীগঞ্জ থেকে বিধায়ক হন নাসিরুদ্দিন।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন কালীগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ। তাঁর মৃত্যুর তিন মাস পরেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। জল্পনা ছিলই, প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত বিধায়কের মেয়েকেই দাঁড় করাতে পারে তৃণমূল কংগ্রে। বাস্তবে মিলে গেল জল্পনা। দলের হয়ে সম্প্রতি একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে আলিফাকে। বাবার শূন্যস্থান পূরণ করতে কন্যার উপরই ভরসা রাখছে জোড়াফুল শিবির। তবে ৩৮ বছরের আলিফা তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। রাজনীতিতে নতুন নয়।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র এই আসনের উপ নির্বাচনের জন্য ১৮-২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা কার্যত নজিরবিহীন বলা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে এসে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কালীগঞ্জে ৫৬ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত BJP, CPIM এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। কংগ্রেস–CPIM জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নাকি আলাদা আলাদা প্রার্থী দেবে সেটাও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি।
২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে এই উপনির্বাচনের ফলাফল দিয়ে সাংগঠনিক শক্তি পরখ করে নিতে চাইছে শাসকদল। এই উপনির্বাচনে যত বেশি সম্ভব ভোট নিজেদের বাক্সে নিয়ে আসাই টার্গেট তৃণমূলের। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে ৫৩.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। BJP-র প্রার্থী পান ৩০.৯১ শতাংশ ভোট।