ডায়মন্ড হারবারে ভোটের ব্যবধান ৮ লক্ষ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাতগাছিয়ার শ্রীকৃষ্ণপুর বোরহানপুর স্কুল ফুটবল ময়দানে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব,২০২৫’ বইয়ের উদ্বোধন করতে যান অভিষেক। সেখান থেকে বিজেপিকে আগামী লোকসভা নির্বাচন ২০২৯-এ ভোটের ব্যবধান বাড়িয়ে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছোড়েন।
বলেন, "ডায়মন্ড হারবারে কে দাঁড়াবে? এখনও চার বছর তো সময় রয়েছে। আবার তো উনত্রিশে নির্বাচন, লোকসভা। চার বছর সময় আছে ভাবার। ভালো করে ভাবুন। আমি কথা দিচ্ছি, এই যে ব্যবধান তা বাড়াব। মানুষের ওপর আস্থা রয়েছে। ৭ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি ব্যবধান, এটা আমরা ৮ লক্ষ করব। অনেকে অনেক কথা বলেছিল, ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। সংগঠন দুর্বল হয়ে গেছে। কিছু বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছিল দল ভাঙাবে বলে। তাদের বাড়া ভাতে ছাই পড়ল। ২০১৪ সালে যা ব্যবধান ছিল ২০১৬ সালে বেড়েছে। ২০১৬, ২০১৯, ২০২১- ক্রমবর্ধমান ব্যবধান বেড়েছে। বাংলার রেকর্ড.. বাংলার মানুষ তাদের বাড়া ভাতে ছাই ফেলে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।...."
গত ২০২৪-এর লোকসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১০,৪৮২৩০ ভোটে জেতেন। প্রতিপক্ষ বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ৭ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হারান অভিষেক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩,৩৭৩০০। সিপিএমের প্রতীক-উর-রহমান পেয়েছিলেন ৮৬, ৯৫৩টি ভোট।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৭,৯১,১২৭ ভোট। সেবারও কড়া টক্কর হয়েছিল বিজেপির সঙ্গে। বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জয় রায় পেয়েছিলেন ৪,৭০,৫৩৩ ভোট। সেখানে সিপিআই(এম) প্রার্থী ফুয়াদ হালিম পেয়েছিলেন ৯৩,৯৪১ ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্য আইচ রায় পেয়েছিলেন ১৯,৮২৮ ভোট।
তার আগে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাপ্ত ভোটের ছিল ৫,০৮,৪৮১। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিআইএম প্রার্থী ডাঃ আব্দুল হাসনত পেয়েছিলেন ৪,৩৭,১৮৭ ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস পেয়েছিলেন ২,০০,৮৫৮ ভোট।
২০১৪-র পর থেকে লোকসভায় ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে দ্বিগুণের বেশি ভোট বেড়েছে তৃণমূলের। ২০২৯-এ এই লক্ষ্য আরও বাড়ালেন অভিষেক। তবে ২০২৪-এর নির্বাচনের পর এই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি)। যিনি ওই কেন্দ্রে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।