Advertisement

সেচ দফতরের জায়গা দখল TMC-র, আটকে শ্মশান-কবরস্থানের পথ; সমস্যায় গ্রামবাসীরা

সেচ দফতরের সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যার ফলে বন্ধ শ্মশান এবং কবরস্থান যাওয়ার রাস্তা। রাস্তা না থাকার ফলে খাটিয়াতে করে রোগী নিয়ে যাওয়ার ছবি এই রাজ্যে প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এবার দেখা গেল রাস্তা না থাকার ফলে মরা মহানন্দায় কোমর সমান জলে নেমে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ। এমনই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তৃণমূলতৃণমূল
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • মালদা,
  • 01 Nov 2025,
  • अपडेटेड 11:44 PM IST

সেচ দফতরের সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যার ফলে বন্ধ শ্মশান এবং কবরস্থান যাওয়ার রাস্তা। রাস্তা না থাকার ফলে খাটিয়াতে করে রোগী নিয়ে যাওয়ার ছবি এই রাজ্যে প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এবার দেখা গেল রাস্তা না থাকার ফলে মরা মহানন্দায় কোমর সমান জলে নেমে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ। এমনই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের মদতে সরকারি জায়গা দখল হয়েছে। মালদহের  হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের চাঁচল বিধানসভার অন্তর্গত তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসতপুর গ্রামের ঘটনা।

জানা গিয়েছে, গ্রামে একদিকে কবরস্থান, অন্যদিকে শ্মশান। সেচদপ্তরের জায়গায় ছিল কাঁচা রাস্তা। বাসিন্দারা শবদেহ কবরস্থান ও শ্মশানে নিয়ে যেতেন এই রাস্তা দিয়েই। তাঁদের অভিযোগ,স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সাত্তার আলি সেচ দপ্তরের ৫০ শতক জায়গা দীর্ঘদিন দখল করে চাষবাস করছেন। সেজন্য তিনি কবরস্থান ও শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে আঙ্গারমুনি গ্রাম হয়ে কবরস্থান ও শ্মশান যেতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, বসতপুর গ্রামের বধূ সোলো বিবির মৃত্যু হয়। রাস্তা বন্ধ থাকায় গ্রামবাসীরা মরা মহানন্দা নদীর কোমর সমান জল পেরিয়ে কবরস্থানে নিয়ে যান। সেচদপ্তরের জায়গা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সাত্তারের পরিবারের একাধিকবার গন্ডগোল হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা, ব্লক প্রশাসন, সেচদপ্তর ও জেলাশাসকের কাছে গণসাক্ষর করে দাবিপত্র দেওয়া হয়েছিল। তারপর সেচদপ্তর থেকে পাঁচ মাস আগে লোক এলেও মাপজোগ অসম্পূর্ণ রেখে চলে যান। স্থানীয়রা প্রশাসনকে বারবার বললেও হয়নি কোনও সুরাহা।

অন্যদিকে অভিযুক্ত সেচ দপ্তরের জায়গা দখলের কথা স্বীকার করলেও রাস্তা বন্ধ করার কথা মানতে নারাজ। এদিকে এই ছবি সামনে আসতে বিজেপির দাবি এটাই এই রাজ্যের উন্নয়নের বেহাল দশা। যেখানে মৃতদেহ নিয়ে যেতেও এই দুর্ভোগ। তৃণমূলের মদত আছে বলেই সরকারি জায়গা দখল হয়ে রয়েছে

Advertisement

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চাঁচল বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। তাঁর দাবি এই নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ হবে। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Read more!
Advertisement
Advertisement