Advertisement

TMC leader controversy: ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে 'বউ চুরি'র অভিযোগ, ধর্নায় ISF কর্মী

তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ তুসসেন ISF কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের সালাউদ্দিন মোল্লার দাবি, তাঁর স্ত্রী সংসার ছেড়ে তৃণমূল নেতা মোকারেম মোল্লার সঙ্গে পালিয়েছেন।

প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় আইএসএফ কর্মী স্বামী।প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় আইএসএফ কর্মী স্বামী।
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • ভাঙড়,
  • 14 Sep 2025,
  • अपडेटेड 1:56 PM IST
  • তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ তুললেন ISF কর্মী। 
  • দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের সালাউদ্দিন মোল্লার দাবি, তাঁর স্ত্রী সংসার ছেড়ে তৃণমূল নেতা মোকারেম মোল্লার সঙ্গে পালিয়েছেন।
  • অভিযোগকারী স্বামীর দাবি, 'মোকারেম প্রায় পাঁচবার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে।'

তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ তুললেন ISF কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের সালাউদ্দিন মোল্লার দাবি, তাঁর স্ত্রী সংসার ছেড়ে তৃণমূল নেতা মোকারেম মোল্লার সঙ্গে পালিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়। অভিযোগকারী স্বামীর দাবি, 'মোকারেম প্রায় পাঁচবার আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি। কোনও সুরাহা পাইনি।'

ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুমরু গ্রামে। সালাউদ্দিনের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। সালাউদ্দিনের অভিযোগ, প্রতিবারই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। উল্টে তিনি বারবার ফিরেছেন খালি হাতে।

শেষমেশ হতাশ স্বামী বেছে নিলেন অন্য পথ। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়লেন ধর্নায়। জায়গাটিও প্রতীকী, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর ছেলের দোকানের সামনে।

ধর্নায় বসে সালাউদ্দিনের দাবি, 'এর আগে থানায় গিয়েছি। কিন্তু থানায় গেলে কোনও লাভ হয় না। তৃণমূল নেতৃত্বকেও জানিয়েছি। কিন্তু তাঁরা বলেছেন, এমন নোংরা বিষয় নিয়ে মুখ খুলবেন না। তাই শেষ পর্যন্ত এই পথই বেছে নিলাম'

রীতিমতো প্ল্যাকার্ড ছাপিয়ে ধর্নায় বসেছেন ISF কর্মী।

এদিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, গ্রামবাসীদের অনেকেই এই ধর্নার ব্যাপারটি নিয়ে বেশ আলোচনা করছেন। অনেককে কটাক্ষ করতেও শোনা গেল, 'নেতারা যদি সাংসারিক বিষয়েই এত অশান্তিতে থাকেন, তাহলে সমাজের কী হবে!' 

তৃণমূলের তরফে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কেউ এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। স্থানীয় নেতৃত্বও মুখ খুলতে নারাজ।

ভাঙড়ের মতো সংবেদনশীল এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে রাজনীতির পারদ যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

অন্যদিকে, আইএসএফ সমর্থকরা বলছেন, 'এটা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?'

গ্রামের সাধারণ মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন, এই অভিযোগ কতটা সত্যি? আর যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তবে এতে পুলিশের ভূমিকা কী?

সব মিলিয়ে একেবারে অস্বস্তিতে ভাঙড়ের শাসক বিরোধী দুই পক্ষই। মাঝখানে দাঁড়িয়ে কেবল গুঞ্জনেই মজে সাধারণ মানুষ। 

সংবাদদাতা: প্রসেনজিৎ সাহা

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement