নিজের দেহরক্ষীকে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল নেতা ও করিমপুর ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সাজিজুল হক শা ওরফে মিঠু। রবিবার রাতে করিমপুরের বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় পরিবারের সদস্য এবং নিরাপত্তারক্ষীকে গালিগালাজ করেন ওই নেতা। এরপরই নিরাপত্তারক্ষী জাহাঙ্গীর আলমের ওপর রাগের মাথায় গুলি চালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তবে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে পালিয়ে যান দেহরক্ষী এবং থানায় অভিযোগ জানান।
খবর পেয়ে থানারপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মিঠুকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮ রাউন্ড কার্তুজ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গুলিটি ঘরের দরজায় লাগে, যদিও কেউ আহত হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, এর আগেও মিঠু এক দেহরক্ষীর ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল। বারবার তার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে এবং তিনি নির্দোষ।
পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে যে, এতগুলি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ কোথা থেকে এল। সোমবার মিঠুকে তেহট্ট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের একাংশের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং দলের নেতৃত্ব এ নিয়ে নীরব। এখন দেখার, তদন্তে কী উঠে আসে এবং এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব কী অবস্থান নেয়।