ফের উত্তপ্ত ভাঙড়। ভরসন্ধ্যায় তৃণমূলের নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। মৃতের নাম রজ্জাক খাঁ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে মাঝরাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে দপুষ্কৃতীরা তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে বলেও খবর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২ জন সন্দেহভাজনকে এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা শওকত মোল্লার ঘনিষ্ট বলে পরিচিত ছিলেন এই রজ্জাক খাঁ। তিনি ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। ফলে তাঁর হত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
শওকত মোল্লা গোটা ঘটনায় ISF-এর দিকেই আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, 'ISF আশ্রিত সমাজবিরোধী এবং দুষ্কৃতীরাই এই হত্যা করেছে। এলাকায় ত্রাস তৈরি করতে চাইছে এরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ছিলেন রজ্জাক। সেখান থেকেই দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই নৃশংস ভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়।' এখানেই শেষ নয়, সরাসরি ভাঙড়ের বিধায়কের নাম নিয়ে তিনি বলেন, 'নওশাদ সিদ্দিকির মদতেই এই হত্যাকাণ্ড। আসলে ভাঙড় এলাকায় অদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে এইসব কাজ করছে। পুলিশকে বলব, অবিলম্বে এই সমাজবিরোধীদের গ্রেফতার করতে হবে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।'
গোটা ঘটনা অবশ্য অস্বীকার করেছে ISF। তাদের বক্তব্য, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই তৃণমূলের লোকজন দলের নেতাকে খুন করেছে। তা ঢাকতেই ISF-এর নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের।
মাত্র কিছুদিন আগে ভর সন্ধ্যায় ঠিক একই ভাবে বসিরহাটের ভিড়ে ঠাসা বাজারে গুলি করে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। রাত ৯.৩০ নাগাদ বসিরহাটের গোটরা পঞ্চায়েতের ঘোনা থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম আনার হোসেন গাজি (২৪)। জানা যায়, ভরা বাজারের মধ্যে একটি চা-এর দোকানের সামনে বাইকের উপর বসে চা-এর কাপে চুমুক দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। সেই সময়েই ৫ থেকে ৬ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিন রাউন্ড গুলি চলে বলে খবর প্রত্য়ক্ষদর্শী সূত্রে। ভিড়ে ঠাসা এলাকায় বেপরোয়া এই কাণ্ডে থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেওয়া হয় আনার হোসেন গাজিকে।