Advertisement

Chit fund Case: ৩৫০ কোটি টাকার চিটফান্ড কেলেঙ্কারি, আসানসোলে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আসানসোলে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে। জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। বাবা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা।

ধৃত তহসিন আহমেদ ধৃত তহসিন আহমেদ
Aajtak Bangla
  • আসানসোল ,
  • 27 Oct 2025,
  • अपडेटेड 10:03 AM IST
  • চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে
  • আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের হাতে পাকড়াও
  • ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ

৩৫০ কোটি টাকার চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত তহসিন আহমেদকে গ্রেফতার করল আসানসোল পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, তহসিন আহমেদ তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের এক নেতার ছেলে। প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ কাণ্ডে এই ব্যক্তিই মূলচক্রী ছিল বলে অভিযোগ। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লগ্নিকারীর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃতের কাছ থেকে ২৫০ গ্রামের মতো সোনা উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, প্রায় শয়ে শয়ে বিনিয়োগকারীকে মোটা টাকা মুনাফার লোভ দেখিয়ে চিটফান্ডের ব্যবসা ফেঁদে প্রতারিত করেছে এই তাহসিন। 

এছাড়াও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে তহসিনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তার উপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই বিশাল দুর্নীতির কাণ্ডে তহসিনের সঙ্গে আর কারা জড়িত। অনুরূপ আর কোনও জালিয়াতির ফাঁদ সে পেতে বসেছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

রবিবার তহসিনকে আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তর আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও বিচারক তা খারিজ করে দেন। তহসিন ও তাঁর কোম্পানি প্রপার ট্রেডার এবং রেজিস্টার্ড বলেও দাবি করেন তার আইনজীবী। লগ্নিকারীদের ১০ লক্ষ টাকা অনরেকর্ড এবং ১৯ লক্ষ টাকা ক্যাশন ফেরত দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়। লগ্নিকারীদের টাকা শেয়ার ট্রেডিংয়ে লাগানো হয়েছিল। শেয়ার মার্কেটে ধস নামায় সাময়িক সমস্যা হয় বলে আদালতে জানান আইনজীবী। পাশাপাশি, অভিযুক্তর আইনজীবী সৈয়দ রেহান এই দিন আদালতে দাবি করেন, যে গয়নাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলো তাঁর মক্কেলের নিজের গয়না। সেই গয়না বিক্রি করে লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ায় উদ্দেশ্য ছিল। পালিয়ে যাওয়া নয়। ধৃতকে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement