
মোদীর সভায় যোগ দিতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের তিন বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে শোকস্তব্ধ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ পেয়েই ব্লক তৃণমূল সভাপতি-সহ একাধিক নেতা মৃতদের বাড়িতে ছুটে যান। অন্যদিকে, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পূর্ব রেলের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে রেলমন্ত্রক। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে মুর্শিদাবাদ থেকে প্রায় ৪০ জনের একটি দল শুক্রবার রাতেই নদিয়ার তাহেরপুরে পৌঁছয়। শনিবার ভোরে তাহেরপুর রেলস্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান তাঁদের কয়েক জন। সেই সময় দ্রুতগতির একটি ট্রেন এসে ধাক্কা মারলে চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাতের তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়।
মৃতদের মধ্যে দু’জন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকার শাবলদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের শাবলদহ গ্রামের বাসিন্দা এবং এক জন বড়ঞার মসড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। মৃতরা হলেন মুক্তিপ্রদ সূত্রধর (৫৫), রামপ্রসাদ ঘোষ (৬৫) এবং ভৈরব ঘোষ (৬২)। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারগুলিকে জানানো হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্লক তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম, গোলাম মোর্শেদ-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।