রতুয়ায় সেচ দফতরের কয়েক বিঘা জমি দখল করে বেসরকারি স্কুল চালানোর অভিযোগ উঠেছে মালদার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সেচ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আরএসপি-এর জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে। সেচমন্ত্রীকে দেওয়া ওই অভিযোগপত্র সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায়। সেচ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখিত অভিযোগে ওই আরএসপি নেতা জানিয়েছেন, সত্তরের দশকে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী থাকাকালীন গনিখান চৌধুরি রতুয়া-১ ব্লক অফিস সংলগ্ন এলাকায় চার বিঘা জমির উপরে সেচ দফতরের অফিস তৈরি করেন। পরে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। সেই সময়ে মালতিপুর বিধানসভায় আরএসপি বিধায়ক ছিলেন আব্দুর রহিম বক্সী। পরিত্যক্ত ও ভগ্নদশায় পরিণত হওয়া রতুয়ার সেচ দফতরের ওই বিল্ডিংটি সামাজিক গঠনমূলক কাজের জন্য লিজ নেন তিনি।
অভিযোগ, সরকার পরিবর্তন হতেই বর্তমান জেলা তৃণমূল সভাপতি কৌশলে ওই জমিটি নিজের এবং স্ত্রী আয়েশা খাতুনের নামে ভূমি দপ্তরে রেকর্ড করে নেন। সর্বানন্দ বলেন, 'সেচ দফতরের সরকারি জমি কী ভাবে রেকর্ড বদল করে জেলা তৃণমূল সভাপতি নিজের নামে করে নিলেন, সেটাই অবাক করার ব্যাপার। সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীকে জানিয়েছি।' যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ব্যক্তিগত অভিযোগের জবাব দিতে আমি রাজি নই। যে জমি দখলের কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই জমির ব্যক্তিগত মালিকানার সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি বিজেপির দালাল।
রিপোর্টারঃ মিলটন পাল