কসবায় ল' কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের শোকজ চিঠির জবাবে লিখিত ভাবে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন মদন। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে।
সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের গার্ডরুমে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। এই আবহে এক মন্তব্য করেন মদন। যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মদনের মন্তব্য নানা মহলে সমালোচিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি তাঁকে শোকজ চিঠি পাঠান। সূত্রের খবর, দলের সেই শোকজের জবাবে ক্ষমা চেয়েছেন মদন। পাশাপাশি, তিনি কেন এই মন্তব্য করেছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মদনের পাশাপাশি, কসবাকাণ্ডে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ঠিক কী বলেছিলেন মদন?
তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন, 'ওই মেয়েটি যদি ওখানে না যেত, এই ঘটনা তো ঘটত না। যাওয়ার সময়ে যদি কাউকে বলে যেত, দু'জন বান্ধবীকে নিয়ে যেত, বাবা-মাকে নিয়ে যেত, তা হলে এটা ঘটত না। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে অভিযুক্তরা।'
কসবায় গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মনোজিৎ ওই কলেজের প্রাক্তনী। আলিপুর আদালতে সে প্র্যাক্টিস করে। ৩১ বছর বয়সী মনোজিৎ বর্তমানে টিএমসিপির দক্ষিণ কলকাতা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দুই ধৃত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় কলেজেরই পড়ুয়া। ধৃত ৩ জনকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।