হুগলির বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে ফের ট্রোলের মুখে তৃণমূল সাংসদ-অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলাগড়ের জলমগ্ন পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান। এই সময়েই তিনি 'বেফাঁস' বলে বসেন, 'কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়া হয়েছে'। সাধারণত জল মাপার ক্ষেত্রে একক হিসাবে ব্যবহার করা হয় কিউসেক। আর ভারী বস্তুর ওজন মাপার ক্ষেত্রে কুইন্টাল। এই শব্দ গুলিয়ে ফেলেই ফের ট্রোলের মুখে পড়তে হয় সাংসদকে।
এদিন রচনা বলেন, ‘‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। ওরা বলছে, জানিয়েই জল পাঠিয়েছে!’’তবে রচনার এই মন্তব্যকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। কিউসেককে কুইন্টাল বলায় বিজেপির প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওনাকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত।’’
বিজেপির আরও এক নেতা বলেন, “উনি নিজেই মিম তৈরির রসদ দিচ্ছেন। যারা মিম তৈরি করেন তাঁদের কোনও দোষ নেই। ওনার ন্যূনতম জ্ঞান নেই। ভুলভাল বকছেন। কপালে দুঃখ রয়েছে সাধারণ মানুষের।”
এদিন রচনা আরও বলেন, "সত্যিটা কি এই মুহূর্তে জানা নেই। তবে যা হয়েছে, ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী যে বিষয়ে বলেছেন, সে বিষয়ে আমি আর কিছু বলব না। উনি আমাদের গুরুজন।"
বুধবার হুগলির চাঁদরা, মিলনগর, চরখয়রামারি সহ ভাঙন, প্লাবিত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তিনিও DVC-র জল ছাড়াকে দায়ী করেন।
তবে রচনার বেফাঁস মন্তব্য এই প্রথম নয়। এর আগে নির্বাচনের সময়, রাইস মিলের চিমনির ধোঁয়া দেখে তাঁর করা মন্তব্য, " পুরো আকাশটা ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে গেছে, কত্ত কারখানা!" তারপর সিঙ্গুরের গরুর দুধ থেকে তৈরি দই নিয়ে একাধিকবার ট্রোলের মুখে পড়তে হয়। এখানেই শেষ নয়, আর জি কর কাণ্ডে চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর পর তাঁর কান্না নিয়েও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়তে হয় রচনাকে।