Advertisement

Mahua Moitra: ফের MP পদ হারাতে পারেন মহুয়া? 'পাজামা' মন্তব্যে দোষী প্রমাণিত হলে যা হতে পারে...

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ফের বিতর্কে! তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে 'অশালীন' মন্তব্য করার জন্য ওই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 08 Jul 2024,
  • अपडेटेड 1:58 PM IST
  • কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ফের বিতর্কে!
  • তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ফের বিতর্কে! তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে 'অশালীন' মন্তব্য করার জন্য ওই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ইন্ডিয়ান জাস্টিস কোডের অধীনে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের এটিই প্রথম এফআইআর। দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এর ভিত্তিতে স্পেশাল সেল মামলা করেছে।

ব্যাপারটা কী?
২ জুলাই উত্তরপ্রদেশের হাথরসে সৎসঙ্গের পর পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২০ জনেরও বেশি মানুষের। মৃতদের অধিকাংশই নারী। এরপর ৪ জুলাই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা হাথরসে গিয়েছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি ছাতা নিয়ে তাঁর পেছনে হাঁটছিলেন। এর ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে আসার পর মহুয়া একটি মন্তব্যের জবাবে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। যদিও পরে মহুয়া তা মুছে দেন।

জাতীয় মহিলা কমিশন বিষয়টিতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করে। মহিলা কমিশন তার অভিযোগে বলেছে যে, মহুয়ার মন্তব্য অত্যন্ত অবমাননাকর এবং মহিলাদের মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার অধিকারের চরম লঙ্ঘন। মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মহিলা কমিশন। এ ছাড়া তিন দিনের মধ্যে অ্যাকশন রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।

এফআইআর কোন ধারায়?
মহিলা কমিশন অভিযোগ করেছিল যে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য কেবল অবমাননাকর নয়, এটি একজন মহিলার মর্যাদার অধিকারেরও লঙ্ঘন। মহিলা কমিশন ইন্ডিয়ান জাস্টিস কোডের (বিএনএস) ধারা ৭৯ এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করার দাবি করেছিল। মহিলা কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ভারতীয় জাস্টিস কোডের ৭৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।

X-এ মহিলা কমিশনের পোস্টটি পুনরায় পোস্ট করে মহুয়া লিখেছেন, 'দিল্লি পুলিশের এই স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আগামী তিন দিনের মধ্যে আমাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে আমি নদিয়ায় আছি।' মহুয়া মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকেও কটাক্ষ করে লেখেন, 'আমি আমার নিজের ছাতা ধরতে পারি।'

Advertisement

মহুয়ার কী শাস্তি হতে পারে?
ইন্ডিয়ান জুডিশিয়াল কোডের ৭৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, কেউ, কোনও মহিলার মর্যাদাকে অবমাননার উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলে, কোনও শব্দ করে, কোনও অঙ্গভঙ্গি করে বা এমন কোনও কাজ করে যা মহিলার গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করে, তবে তা অপরাধ। যাতে ৩ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। পাশাপাশি এ ধরনের মামলায় জরিমানার শাস্তির বিধানও রয়েছে।

তাহলে কি সাংসদ পদ চলে যাবে?
আইন অনুসারে কোনও সাংসদ বা বিধায়কের যদি কোনও ফৌজদারি মামলায় দুই বছর বা তার বেশি সাজা হয় তবে তাঁর সদস্যপদ অবিলম্বে বাতিল হয়ে যাবে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি একজন সাংসদ বা বিধায়কের দুই বছর বা তার বেশি সাজা হয় তবে তিনি অবিলম্বে তার সদস্যপদ হারাবেন। এ ছাড়া সাজা পূর্ণ হলে পরবর্তী ৬ বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে, যদি একজন বর্তমান সাংসদ বা বিধায়ক দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(১), ৮(২) এবং ৮(৩) ধারার অধীনে অযোগ্য হবেন। এমতাবস্থায় মহুয়া মৈত্রের এই মামলায় দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে লোকসভার সদস্যপদ হারাবেন তিনি।

গত বছর সাংসদ পদ হারিয়েছিলে মহুয়া
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র গত বছর 'ক্যাশ ফর কোয়েরি' মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। মহুয়া মৈত্রার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া এবং সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এটাও অভিযোগ করা হয়েছিল যে, তিনি লোকসভা ওয়েবসাইটের জন্য তার লগইন ক্রেডেন্সিয়াল হিরানন্দানি গ্রুপকে দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারে। লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়াকে দোষী বলে বিবেচনা করেছিল। এবং সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করেছিল। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement