সন্দেশখালিকাণ্ডে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন এলাকার সাংসদ নুসরত জাহান। মঙ্গলবার বসিরহাটের সাংসদ বলেছেন, 'এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আগুন নেভানো আমাদের কাজ। আগুনে ঘি ঢালা নয়।' গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে সন্দেশখালি। এই ঘটনায় এলাকার সাংসদ কেন মুখ খুলছেন না, এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা। অবশেষে মঙ্গলবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের তারকা-সাংসদ।
ঠিক কী বলেছেন নুসরত?
সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে নুসরত বলেছেন, 'এই জটিল পরিস্থিতিতে মানুষকে উস্কানি না দিয়ে আমাদের সকলকে রাজ্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। যা যা করার রাজ্য সরকার করছে। আমি রোজ যোগাযোগ রাখছি আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজনীতি করা উচিত নয়। আগুন নেভানো আমাদের কাজ। আগুনে ঘি ঢালা নয়।'
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে গোলমালের ঘটনার পর থেকেই তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকা। সম্প্রতি শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই নতুন করে তেতে রয়েছে সন্দেশখালি। গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তম, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে। ধৃত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার।
শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। এত দিন পরও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না, এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা। সোমবার আদালতে আগাম জামিনের মামলায় শাহজাহানের তরফে আর্জি জানানো হয়েছে যে, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না, এই আশ্বাস দিলে তবেই তিনি ইডির তলবে সাড়া দেবেন। সোমবার তৃতীয় বারের জন্য শাহজাহানকে তলব করেছিল ইডি। এখনও পর্যন্ত ইডির দফতরে হাজিরা দেননি তিনি।
সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'যাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং যারা হিংসাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে, তাদের প্রত্যেককেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।'সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ যে মহিলারা, তাঁদের সঙ্গে সোমবার দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁদের ক্ষোভের কথা শুনলেন। নিজেকে 'নির্যাতিতাদের ভাই' বলে সম্বোধন করলেন রাজ্যপাল। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ সারলেন রাজ্যপাল বোস।