প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে কালীঘাটের মা কালীর ছবি! এমন কাণ্ডই ঘটেছে বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতির অভিষেক মঞ্চে। মোদীর পাশে মা কালীর ছবি রাখা নিয়ে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল। এতে 'ভাবাবেগে আঘাত' হয়েছে বলে সোচ্চার হয়েছে জোড়াফুল শিবির। পাশাপাশি, এতে ধর্মের নিন্দা হয়েছে বলেও গর্জে উঠেছে তৃণমূল।
ঠিক কী ঘটেছে?
সম্প্রতি কলকাতার সায়েন্স সিটিতে বঙ্গ বিজেপির রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল। ওই মঞ্চ থেকেই দলের নতুন রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়। ওই মঞ্চের জায়ান্ট স্কিনে মা কালীর ছবির সঙ্গে দেখানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবিও। যা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, 'রাজনৈতিক মঞ্চে মা কালীর ছবি। আমাদের ভাবাবেগে আক্রমণ, আমরা আহত হয়েছি। মা কালী একটি রাজনৈতিক মঞ্চে কেন? দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, আমি কিন্তু বায়োলজিক্যাল সন্তান নই, ভগবান আমাকে সরাসরি পাঠিয়েছেন, একটা উদ্দেশ্য নিয়ে। রাজনৈতিক মঞ্চে মাকেও ছাড়লেন না। ধর্মের নিন্দা করলেন।'
পাল্টা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'নরেন্দ্র মোদীর ছবি ছি দূরে, এলইডি স্ক্রিনে।'
অন্য দিকে, কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম বক্তৃতায় মুসলিম ভোটের প্রসঙ্গ টানেন শমীক। তিনি বলেন, 'বিজেপির লড়াই সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে নয়, মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়...।' শমীক আরও বলেছেন, 'যাঁরা আমাদের ভোট দিচ্ছেন না, যাঁরা আমাদের থেকে দূরে থাকছেন, যদি মনে করেন বিজেপি অস্পৃশ্য, অচ্ছ্যুত, আমাদের ভোট দেবেন না। কিন্তু তাঁরা আয়নায় নিজেদের দিকে দেখুন। গত ৩ বছরে যত খুন হয়েছে মুসলমানের সংখ্যা কত,৯০ শতাংশ মুসলমান খুন, মরছে মুসলমান, মারছে মুসলমান। আর তাঁদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চায়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চায়।' শমীক আরও বলেছেন যে, এমন বাংলা চাই, যেখানে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা ও মহরমের মিছিল একই সঙ্গে যাবে।