এক বাংলাদেশি নাগরিককে সরকারি নথি জাল করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল কর্মী ও তার শাগরেদ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত মাধপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মৃগাঙ্ক বিশ্বাস। ধৃত ওই তৃণমূল কর্মীর শাগরেদ সুব্রত দফাদারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, হরিণঘাটা মাধপুর এলাকার এক বাসিন্দা হরিণঘাটা থানায় অভিযোগ করেন প্রাঞ্জল মণ্ডল নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক তার নাম ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এমনকি তাঁকে ওই বাংলাদেশি যুবকের বাবা হিসেবে নথিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকদিন আগে প্রাঞ্জল মণ্ডল নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে হরিণঘাটার উত্তরপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাম উঠে আসে সুব্রত দফাদার ও মৃগাঙ্ক বিশ্বাসের। ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক প্রাঞ্জল মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পড়াশুনা করার জন্য এসেছিলাম। এক ব্যক্তি আমার নামে থানায় অভিযোগ করেন। ওনাকে আমার বাবা পরিচয়ে সরকারি নথি করে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী মৃগাঙ্ক বিশ্বাস বলেন, তিনি নির্দোষ।
ধৃত দুজনকে শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টাকার বিনিময়ে সীমান্ত দিয়ে এদেশে লোক ঢোকাচ্ছ খোদ এদেশের দালালরাই। তারই মধ্যে ফের ১০ জন বাংলাদেশি ধরা পড়ল। এবং তাঁদের এদেশে ঢুকতে সাহায্য করেছিল এখানকার কিছু লোক। তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে এদেশে তাঁদের ঢোকানোর পিছনে কোনও গভীর কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কিনা তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর রাতে নদিয়ার রানাঘাট জেলা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ধানতলা থানা এলাকায় আত্মগোপন করে আছে ১০ বাংলাদেশি নাগরিক। আর এর পরই ধানতলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে 10 বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ধানতলা পুলিশ। পাশাপাশি ওই বাংলাদেশিদের ভারতে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করতে সাহায্য করা ও তাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে হাসখালি থেকে ২ ও ধানতলা থেকে ৩ সহ মোট ৫ জন টাউটকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে তোলে ধানতলা ও হাসখালি থানার পুলিশ।
সংবাদদাতাঃ বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়