Advertisement

Sandeshkhali Tornado: সন্দেশখালিতে 'টর্নেডো'? মুহূর্তে ভেঙে বহু বাড়ি, উড়ল ছাদ, একেবারে তছনছ

নিম্নচাপের জেরে পুজো শেষে রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা ছিলই। আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে বিরাট বিপদের মুখে পড়ল সন্দেশখালি। দশমীর বিকেলে আচমকা ঝড় বা বলা ভালো টর্নেডোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হল এলাকার অসংখ্য বাড়ি। এমনকী আহত হয়েছেন ৬ জন বলে খবর।

স্বপন কুমার মুখার্জি
  • কলকাতা,
  • 03 Oct 2025,
  • अपडेटेड 11:17 AM IST
  • টর্নেডোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হল এলাকার অসংখ্য বাড়ি
  • ঝড়ের দাপটে উপড়ে যায় ১৫-২০টি বিদ্যুতের খুঁটি
  • আহত হয়েছেন ৬ জন বলে খবর

নিম্নচাপের জেরে পুজো শেষে রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা ছিলই। আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে বিরাট বিপদের মুখে পড়ল সন্দেশখালি। দশমীর বিকেলে আচমকা ঝড় বা বলা ভালো টর্নেডোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হল এলাকার অসংখ্য বাড়ি। এমনকী আহত হয়েছেন ৬ জন বলে খবর।

শুধু তাই নয়, ঝড়ের দাপটে উপড়ে যায় ১৫-২০টি বিদ্যুতের খুঁটি। যার জেরে একটা বিস্তির্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সন্দেশখালির ১ নম্বর ব্লকের আগরহাটি
দশমীর বিকেলে সন্দেশখালির ১ নম্বর ব্লকের আগরহাটিতে হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় টর্নেডো। ঝড়ের দাপট এতটাই বেশি ছিল যে কয়েকশো বাড়ির বড়সড় ক্ষতি হয়। উড়ে যায় বাড়ির চাল। এমনকী কিছু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে। 

ওদিকে ঝড়ের দাপটে উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। যার ফলে গোটা এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এই খবর পাওয়ার পরই সেখানে পৌঁছে যান বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তিনি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন। বিধায়কের পাশাপাশি সেখানে পৌঁছে যান বিডিও সায়ন্তন সেন। তিনিও পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন

ঝড়ের পর প্রথম থেকেই তৎপর ছিল প্রশাসন। যার ফলে আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসাও চলছে বলে খবর। এখনও কোনও মানুষের প্রাণহানীর খবর নেই। তবে ৬ জন আহত হয়েছেন।

ত্রাণ পাঠানো শুরু হয়েছে
যতদূর খবর, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছিল। এই গোটা কাজের তদারকি করছেন বিধায়ক সুকামার মাহাতো। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। 

বৃষ্টির রয়েছে পূর্বাভাস

আজ একাদশীতেও রাজ্যে বৃষ্টিপাতের রয়েছে আশঙ্কা। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলার বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

বিশেষত, বীরভূম জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান হয়েছে। পাশাপাশি বর্জ্রপাতেরও রয়েছে আশঙ্কা। ও দিকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া জেলার কিছু জায়গাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। 

Advertisement

আপাতত এই দুর্যোগ কাটছে না। বরং সারা সপ্তাহই বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তাঁদের সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে প্রশাসন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement