Kurmi agitation: টানা চারদিনে পড়ল কুরমিদের রেল ও সড়ক অবরোধ। রেল অবরোধ থাকার কারণে আজও বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন। পুরুলিয়ায় আদ্রা ডিভিশনের কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুর ডিভিশনের খেমাশুলি স্টেশনে চলছে রেল অবরোধ। রেল সূত্রে খবর, আপ ডাউন মিলিয়ে মোট ৪০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বেশ কিছু ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক ট্রেনের রুট ছোট করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে, ঝাড়গ্রাম ধানবাদ এক্সপ্রেস, টাটানগর হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, টাটানগর খড়গপুর স্পেশাল, টাটানগর দানাপুর এক্সপ্রেস, টাটানগর আসানসোল স্পেশাল, চক্রধরপুর টাটানগর এক্সপ্রেস সহ মোট ৪০টি ট্রেন।
অবরোধ চলছে খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। যার জেরে ব্যাহত রেল পরিষেবা। এদিকে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় মালবাহী ট্রাকগুলিও সার দিয়ে দাঁড়িয়ে। রেল ও সড়ক অবরোধে একযোগে দুর্ভোগের পরিস্থিতি। জাতীয় সড়কে মিলছে না জল, খাবার। জল কিনতে হলেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত পয়সা। ঠিকমতো খাবারও মিলছে না।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় তা দেখতে আজ দুপুর ৩টের সময় আন্দোলনকারীদের জন্য বৈঠকে বসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ অবরুদ্ধ হয় কলকাতা-হাওড়া
এদিকে সকাল থেকে আটকে হাওড়া থেকে কলকাতামুখী যানবাহনের চাকা। স্তব্ধ হয়ে পড়ে হাওড়া ব্রিজ। মোটামুটি একই ছবি দেখা গেসে মহাকরণ সংলগ্ন এলাকা, মেয়ো রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা চত্বরে। ধর্মীয় উপাসনার অধিকার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল (Bharat Jakat Majhi Pargana Mahal)। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে তাঁদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থল। অভিযোগ, ওই ধর্মীয় স্থলটি ধ্বংস করে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই শুক্রবার সকালে ডেপুটেশন জমা দিতে প্রথমে হাওড়া স্টেশনে হাজির হন আদিবাসী সংগঠনের হাজার হাজার সদস্য। সেখান থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার জন্য মিছিল করে রানি রাসমনি রোডে উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা।