টিকায় ফিরবে অর্থনীতি!
করোনার কারণে গত এক বছর ধরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প। ঘুরে দাঁড়ানোর মুখে ফের নতুন করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের লকডাউন। আর আবারও সমস্য়ায় পর্যটন। মন খারাপ। তা বলে চুপ করে বসে থাকলে তো চলবে না। তাই নিজেদের প্রস্তুত রাখতে তাঁরা সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন।
ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে চিহ্নিত পর্যটনজীবীরা
শনিবার থেকে শুরু হয়েছে টিকাকরণ এর কাজ। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষকে নিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে উৎসাহ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের।
পুজোর মরশুমের আগে অভয় পর্যটনে
তবে সামনে পুজোর মরশুম। তাই পুজোর আগে লকাউন উঠে গেলে যাতে সমস্য়ায় পড়তে না হয়, এবং যে সমস্ত পর্যটকরা তরাই-ডুয়ার্স-পাহাড়ে ঘুরতে আসবেন, তাঁদের সকলকে অযথা উদ্বেগে পড়তে হবে না। পর্যটন শিল্পকে ছন্দে ফেরাতে তৎপর সরকার এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শনিবার থেকে দার্জিলিং জেলায় পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত হোম স্টে, হোটেল কর্মী, ট্যুর অ্যাণ্ড ট্রাভেলস কর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। দার্জিলিং এর পাশাপাশি শিলিগুড়িতে বিশেষ শিবিরের মাধ্যমে টিকাকরণ শুরু হয়েছে।
দার্জিলিং, শিলিগুড়িতে টিকাকরণ
বিভিন্ন জেলাগুলিতে ট্যুর অপারেটরদের নানা সংস্থাগুলিও এগিয়ে এসেছে টিকাকরণের জন্য। শনিবার শিলিগুড়ির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৬০ জনকে টিকা দেওয়া হয় ৷ তাদের মধ্যে হোটেল কর্মী, হোম স্টে কর্মী সহ স্টেক হোল্ডার সদস্যরা ছিলেন।
তালিকা তৈরি করে টিকা দেওয়া হচ্ছে
শিলিগুড়ি ছাড়াও লাভা ও আশপাশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকেও টিকা নিতে অনেকে এসেছিলেন।এদিন প্রথম দফায় টিকাকরণ হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের সংস্থার তরফে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী টিকাকরণ শুরু হয়েছে।
ঘুরে দাঁড়ানোর আশা
হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যান্যাল বলেন, দুবছর ধরে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু এই টিকাকরণের মাধ্যমে আমার আশা আলো দেখছি। অন্তত টিকাকরণ হয়ে গেলে পর্যটকেরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকলের টিকাকরণ হয়ে গেলে পুজোর সময় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার আশায় দেখছি।