পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে রফতানিতেও প্রভাব পড়তে পারে। এমনটাই মনে করছেন মালদার রফতানিকারী ও সীমান্তবর্তী এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশ। এমনিতেই এর আগে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে। তারপর ফের ভারত-পাকিস্তান অস্থিরতায় রফতানি মার খেতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
মালদার মহদিপুর এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষ জানালেন, 'আগে প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে ৪০০ থেকে ৪৫০টি পণ্যবাহী লরি বাংলাদেশে যেত। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর সেই সংখ্যা কমে গিয়েছে। এখন ৩০০ থেকে ৩৫০টি লরি যায়। এখন কাশ্মীর হামলার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।'
প্রসেনজিৎ ঘোষ আরও বলেন, 'কাশ্মীর ইস্যুতেও সীমান্ত বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা চাই, বৈদেশিক মুদ্রা আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। এদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হোক।'
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহদিপুর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পাথর সহ একাধিক সামগ্রী রফতানি হয়। এর পাশাপাশি আগে সিরামিক আইটেমও পাঠানো হত। বর্তমানে এই রফতানিতে ভাটার টান স্পষ্ট।
এক রপ্তানিকারক জানালেন, 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর বিএসএফের নজরদারি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এখন কাশ্মীর ইস্যুর জেরে সীমান্তে আরও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। এর ফলে বাণিজ্যে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। সরকারের রাজস্ব আয়েও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।'
মহদিপুর সিএনএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস কুন্ডুও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'কাশ্মীরের ঘটনায় আমরা সকলেই দুঃখিত। কিন্তু এখন আশঙ্কা করছি, বাংলাদেশে যে অস্থিরতা চলছে তার সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুও মিশে গিয়ে ওপার সীমান্তে রফতানি বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।'
এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকলেও, বাণিজ্য সচল রাখার ক্ষেত্রে দ্রুত কোনও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা না গেলে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সংবাদদাতা: মিল্টন পাল