একাদশীর সকালে বারুইপুরে যুবকের রক্তাক্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। শুক্রবার সেখানকার বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাঠের ব্রিজের কাছে এই দেহ উদ্ধার হয়। সে দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা। গলার নলি কাটা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই দেহ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যুবকের হত্যা হয়েছে। তবে কে বা কারা খুন করেছে, কারও সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রক্তাক্ত ওই দেহের পাশে পড়ে ছিল এক মদের বোতল। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়দিনই এলাকায় বসত মদের আসর। চলত হইহুল্লোড়। দুষ্কৃতীদের ঠেক ছিল সেটি। একাধিকবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত নজরদারি বাড়ানো এবং টহলদারি চালানোর আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কবে এই ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা নয় বলেই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের দাবি, গ্রামের বাইরের লোকজনের আনাগোনাও বাড়ছে ক্রমশ। মদের আসরগুলি বন্ধ করার উদ্যোগ না নেওয়া হলে, এই ধরনের অপরাধ আরও বাড়বে।
এদিকে, ধূপগুড়ির বিসর্জনের মাঝেই ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ছোট গাড়ি ঢুকে পড়ে দোকানের ভিতরে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত হয়েছেন আরও ৩। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির দিক থেকে আসা একটি ছোট গাড়ি আচমকা স্পিড ব্রেকার টপকে নিয়ন্ত্রণ হারায়। সোজা ঢুকে পড়ে একটি দোকানে। দোকানের ভিতরে থাকা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের গাড়িটি ধাক্কা মারে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। আহত অবস্থায় আরও ১ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে, কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকেও। দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনও আহত হন।