দিন সাতেক হল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন রাণাঘাটের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে টিকিটও পেয়েছেন তিনি। ফুল বদলালেও তাঁকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ শান্তনু ঠাকুর। মতুয়াদের অন্যতম মুখ মুকুটমণি। তিনি দল ছাড়ার পরই দেশজুড়ে কার্যকর হয় সিএএ। মুকুটমণি তাতে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছিলেন, 'কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হয়েছিল নিঃশর্ত নাগরিকত্ব।' তবে মুকুটমণির বক্তব্যের প্রশংসা করেন শান্তনু ঠাকুর । বলেন, "সিএএ আন্দোলনের ভাগীদার মুকুটমণি অধিকারী সে কথা অস্বীকার করি কী করে।"
রানাঘাট জেলা মতুয়া মহাসঙ্ঘ থেকে তাঁকে সরানো হলে শান্তনু জানান, তাঁর মেয়াদকাল শেষ। গত পাঁচ বছরে তাঁর কাজ খুব ভাল ছিল। মেয়াদকাল শেষ হয়ে গিয়েছে বলে সরানো হয়েছে, আর সেখানে এখনও নতুন কাউকে দেওয়া হয়নি।
গত ৯ মার্চ অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মুকুটমণিকে। তাঁর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যদিও তাঁকে ছেঁটে ফেলার জন্যই মহাসঙ্ঘ থেকে সরানো হয়।
মতুয়া গড় রানাঘাট নদিয়া। এই কেন্দ্রে তাঁর প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত লোকসভা ভোটে এই আসনে বিজেপি ভালো ফল করে। মতুয়া ভোট নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির দড়ি টানাটানি বরাবরের। সম্প্রতি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। ফলে মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূলে আসায় বিজেপির ভোটে বেশ খানিকটা প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।