বিরোধী জোট INDIA-র বৈঠক বুধবার অর্থাত্ ১৩ সেপ্টেম্বর। ওই দিনই তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এহেন পরিস্থিতিতে INDIA-জোটের বৈঠকে তৃণমূলের তরফে কে যোগ দিতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বস্তুত, INDIA জোটের কো-অর্ডিনেশন প্যানেলে একমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই রয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে তৃণমূলের তরফ থেকে সম্ভবত কাউকে পাঠানো হচ্ছে না। INDIA জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক হবে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাসভবনে। তৃণমূলের তরফে শরদ পাওয়ার ও কে সি বেণুগোপালকে জানানো হয়েছে, অভিষেকের বদলে তৃণমূল কংগ্রেস অন্য কাউকে হয়তো পাঠাবে না বৈঠকে। ১৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল চাইছে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলতে।
প্রশ্ন উঠছে বুধবার অভিষেক কোথায় যাবেন, ED-র অফিসে? না কি শরদ পাওয়ারের বাসভবনে 'INDIA' জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে? জানা যাচ্ছে, রক্ষাকবচ চেয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক।
INDIA জোটের বৈঠকের দিন অভিষেককে ইডি-র তলব প্রসঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'অভিষেককে সব দিক থেকে বিরক্ত করে। ওকে কখনও নিম্ন আদালতে যেতে হয়, কখনও উচ্চ আদালতে যেতে হয়। কখনও হাইকোর্টে যেতে হয়, কখনও সুপ্রিমকোর্টে যেতে হয় বিচার পেতে। অকারণে হেনস্থা করা হয়। কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে কী করেনি? অনেক কিছু করেছে। কিন্তু তবু এগুলি ওরা করে, কারণ তারা জানে, যুব সমাজ এগুলি কখনও মেনে নেয় না। তারা যুব সম্প্রদায়কে বিরক্ত করতে চায়।'
বিরোধী কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা হলেন, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, শিবসেনা (ইউবিটি) সঞ্জয় রাউত, আরজেডি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আপ সাংসদ রাঘব চড্ডা, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ খান, জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা লালন সিং, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সিবিআই নেতা ডি রাজা, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা ও পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। সমন্বয় কমিটিতে সিপিএম-এর কোনও প্রতিনিধি নেই। নেই সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।