উত্তরাখণ্ডে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন বাঙালি পর্যটকরা। কৌশানির কাছে খাদে পড়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত আরও ৭। মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ। দুর্ঘটনার কবলে যারা পড়েছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, আসানসোল রানিগঞ্জ থেকে ৩০ জনের একটি দল কৌশানি গিয়েছিলেন গত ২১ তারিখ। তাঁরা মুরকেয়ারি থেকে কৌশানি যাচ্ছিলেন তিনটি ট্যাম্পো ট্র্যাভেরা গাড়িতে। ওই পর্যটকদের দলে রয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কঙ্কন রায় ও আসানসোল গ্রামের পিন্টু রায়। তাঁরা জানান, বুধবার দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল উত্তরাখণ্ডের বাঘেশ্বর জেলার কাপকোট থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। সব পর্যটকরা ছিলেন ট্যাম্পো ট্রেভেরা গাড়িতে।
আরও পড়ুন : পরীক্ষার খাতায় ছাত্রের উত্তরপত্র দেখে 'কোমায় শিক্ষক', ভাইরাল
যে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেখানে ছিলেন ১২ জন। ওই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করে বাঘেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩০ তারিখ নৈনিতাল থেকে পর্যটকদের ট্রেন ধরে ফেরার কথা ছিল।
আহত ৭ জন কাপকোট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চিকিৎসাধীন। বাকি আরও কয়েকজনের সামান্য করে আঘাত রয়েছে।
কাপকোট থানা এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, টেম্পো ট্রাভেলার নম্বর UK 04 TA, 1755 শামা-তেজাম মোটর রোডের বেটপ ড্রেনের কাছে শামা-তেজাম মোটরওয়ের মুন্সিয়ারি থেকে কৌশানির দিকে আসছিল। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারায় ও গাড়িটি উল্টে যায়। সেই গাড়ির পিছনে থাকা অন্য পর্যটকদের গাড়িটি সামনের গাড়ির উল্টে যাওয়া গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ড্রেনে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন : শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে বারগার্লের সঙ্গে উদ্দাম নাচ! ভিডিও ভাইরাল
দুর্ঘটনায় যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁহা হলেন, কিশোর ঘটক, শ্রাবণী চক্রবর্তী, সুব্রত ভট্টাচার্য, চন্দনা খান ও রুনা ভট্টাচার্য ।