
বামেদের বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ রয়েছে। আর তার মধ্যে সবথেকে বড় অভিযোগ হল, বামেরা গোটা পৃথিবীর সব সমস্যায় রয়েছে। তারা প্যালেস্তাইনে রয়েছে। তারা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের জন্য রয়েছে। এমনকী ভারতেও সংখ্যালঘু মৃত্যুতেও তারা আন্দোলনে মুখর। তবে বাংলাদেশ বা ভারতে যখন মুসলমানেরা কোনও হিন্দুর প্রাণ নেয়, তখন তারা নাকি কোনও প্রতিবাদই করে না। আবার করলেও সেটা বিরাট আকারের কিছু নয়।
আর বামেদের নিয়ে এই ন্যারেটিভ চালু হওয়ার বিরুদ্ধে কী বলছে সিপিআইএম-এর নব প্রজন্ম?
এই বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন সিপিআইএম-এর নতুন মুখদের মধ্যে অন্যতম প্রতিকুর রহমান। তিনি বলেন, 'এই অভিযোগটা কারা করছে? এই অভিযোগ শুধু বিজেপি, আরএসএস-এর। আমরা সবসময় শোষিতের পক্ষে রয়েছি। পৃথিবীর যেই কোণে যেই মানুষটা শোষিত হবে, তাদের জন্য আওয়াজ আমরা তুলব। সেটা ভারতে হলেও করব, বাংলাদেশে হলেও করব, আবার প্ল্যালেস্টাইনে হলেও করব। এটাই আমাদের ঘোষিত নীতি।'
এই বিষয়ে একই মত আরও এক নতুন মুখ ও ভারতের ছাত্র ফেডারেশন প্রাক্তন জাতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের। তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হত্যা নিয়ে আওয়াজ তুলি। আবার আমাদের দেশেও যখন কোনও সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে খারাপ কিছু হয়, তার বিরুদ্ধেও পথে নামি। বাংলাদেশ নিয়েও মিছিল হয়েছে একাধিক। এটাই আমাদের CPIM।'
মাঠে রয়েছি আমরা...
ময়ূখের কথায়, 'আরএএস-এর বাহিনী রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর আমরা আছি মাঠে-ময়দানে। আমরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। চায়ের দোকান থেকে রাস্তা, সব জায়গাতেই আমরা নিজেদের কথা পৌঁছে দিতে চাই। আমরা চাই দেশে যেন ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় থাকে।'
এই বিষয়ে একই মত প্রতিকুরেরও। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ভারত, প্রত্যেকটা হত্যারই বিরুদ্ধে রয়েছি আমরা। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন থেকে শুরু করে সব ধর্মের মানুষকে নিয়েই ভারতবর্ষে এগিয়ে যেতে হবে।'
এই ন্যারেটিভের মোকাবিলায় কী ভাবছে CPIM?
ময়ূখের সোজা কথা, 'এই সব ন্যারেটিভ ট্যারেটিভ কিছু নয়। মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে হবে। তাহলেই ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে যতদিন এমনটা না হয়, ততদিন চলবে আমাদের লড়াই। আমরা শোষিতের পক্ষে দাঁড়াব। লড়াই করব। এই জন্যই হল বাংলা বাঁচাও যাত্রা।'
ঠিক একই মত প্রতিকুরেরও। তিনিও মনে করেন, লড়াইয়ের মাঠে রয়েছে সিপিআইএম। মানুষ ঠিক অশুভ শক্তির থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেবে।
এখন দেখার সাধারণ মানুষ CPIM-এর এই সব যুবনেতাদের এই বক্তব্য় কতটা মেনে নেয়। তবে এই বিষয়টা বোঝার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৬-এর ভোট পর্যন্ত।