
গত শনিবারই ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। আগামী মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর থেকে ইন্টারভিউ। তবে এই নতুন তালিকা ঘিরেই ফের বিতর্ক। অভিযোগ, ‘টেন্টেড’ বা অযোগ্য প্রার্থীদের ইন্টারভিউতে ডাকা হচ্ছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম প্রশ্ন, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট নম্বর বরাদ্দের নিয়ম আছে। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী কীভাবে সেই নম্বর পেলেন? তাঁর আরও প্রশ্ন, যাঁরা কেবলমাত্র প্রাথমিক শিক্ষকেরই চাকরি করেছেন, তাঁরা উচ্চমাধ্যমিক লেভেলের পরীক্ষাতে অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর কেন পাবেন?
আইনজীবীর দাবি, এই তালিকায় একাধিক ‘গলদ’ রয়েছে। ফলে সেটা আদালতের নজরে আনা প্রয়োজন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগামী বুধবার বিষয়টি নিয়ে শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে, আরেক আইনজীবী পার্ট টাইম শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে, এতে প্রকৃত যোগ্য, ফুল টাইম চাকরিপ্রার্থীরা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই দিনে সেই আবেদনেরও শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর চলতি বছর নতুন করে পরীক্ষা নেয় কমিশন। সেই সময় নতুন নিয়ম তৈরি করে পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়। এবার সেই নিয়মকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক চরমে।
অভিযোগ, নতুন লিস্টে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা এ বছর নতুন পরীক্ষা দিয়ে ফুল মার্কস পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই এই তালিকায় জায়গা হয়নি। এর জেরেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছে। আপাতত আগামী বুধবারের এই বিষয়ে আদালত কী বলে, সেটাই দেখার।
সংবাদদাতা: মানস নস্কর