পুজোর ছুটির আগে উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রায় সকলেরই থাকে। বাঙালি এমনিতেই ভ্রমনপ্রিয় বলে পরিচিত। তবে এবারে সেই উত্তরবঙ্গ বেড়াতে যাওয়ার আগে আশঙ্কার কথা শোনালো আবহাওয়া দফতর। আইএমডি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে।
কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?
পূর্ব বিহারে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি বায়ু। জানা গিয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত (৭ থেকে ১১ সেমি) হতে পারে। এতে বলা হয়েছে যে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (৭ থেকে ২০ সেমি) হতে পারে। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত সহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, তারপরে কোচবিহারে ৪০ মিমি।
সমস্যায় মৃৎশিল্পিরা
পুজোর আগে স্বাভাবিক ভাবেই বেশ ব্যস্ততা থাকেন মৃৎশিল্পি থেকে শুরু করে পুজো উদ্যোগক্তাদের। তবে বৃষ্টি গোলে সমস্যায় পড়তে হবে। জলপাইগুড়ির পালপাড়ায় ইতিমধ্যেই তাই কপালে ভাঁজ পড়েছে মৃৎশিল্পীদের। এবার বর্ষা উত্তরবঙ্গে সময় মতো আসেনি। ফলে কয়েক মাস বৃষ্টি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে হঠাৎ হঠাৎ ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি ও আগামী সপ্তাহেও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় মূর্তি তৈরির কাজ শেষ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কারিগররা।
পুজোর সময় দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুজোর সময় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সৈকত নগরী দিঘা, মন্দারমণি-সহ একাধিক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া দিঘাতেও। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি।