আজ, সোমবার ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছিল। সামনেই শরৎকাল। তবে এই আবহাওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। কারণ, গতকালের নিম্নচাপ আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ–দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করছে।
সংশ্লিষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯.৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এবং উচ্চতার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হেলে রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে দক্ষিণ ওড়িশা–উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা।
মৌসুমি বায়ুর অবস্থান
মৌসুমি বায়ু বর্তমানে নালিয়া, জলগাঁও, ব্রহ্মপুরী, জগদলপুর হয়ে পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ–দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করছে। এখান থেকে তা পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার উপরে বিস্তৃত।
উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে।
দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস
দক্ষিণবঙ্গে উইকেন্ডে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগের দমকা হাওয়া। বৃহস্পতিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি আরও বাড়বে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা।
কলকাতার আবহাওয়া
কলকাতায় আজ আকাশ আংশিক মেঘলা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তি থাকবে। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৬ থেকে ৯১ শতাংশ। অর্থাৎ বৃষ্টি না হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি শহরবাসীর পিছু ছাড়বে না।