উত্তর-পূর্ব বিহার এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশের উপর একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালন তৈরি হয়েছে, যা গড়ে ৪.৫ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হেলে রয়েছে। সেইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট বেড়েছে।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই ভয়াবহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফালাকাটা, কুমারগ্রাম, ময়নাগুড়ি ও দোমোহনিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৯০ মিলিমিটার, ডেঙ্গুয়াঝাড় টি এস্টেটে ১৮০ মিলিমিটার এবং জলপাইগুড়ি ও মেখলিগঞ্জে ১৬০ মিলিমিটার। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গেও লাভপুর ও দেবগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে ১৪০ মিলিমিটার, বীরভূম ও কান্দিতে ১১০-১২০ মিলিমিটার পর্যন্ত।
এই প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা ও জলঢাকা নদীর জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে এবং দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মতো পার্বত্য অঞ্চলে ধস নামার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা।
আজ ও আগামীকাল জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ধারা চলবে সোমবার পর্যন্ত। মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গেও পরিস্থিতি গুরুতর হতে চলেছে। নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বৃষ্টি কিছুটা কমলেও আর্দ্রতা-জনিত অস্বস্তি এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টির দাপট বাড়বে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সামনের কয়েকদিন রাজ্যের দুই অংশেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।