আগামী সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ে ভিজতে চলেছে গোটা রাজ্য। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আগামী সাত দিনে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। এর সঙ্গে বজ্রঝড় ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি নামতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৭ থেকে ২১ অগস্ট বজ্রঝড়ের সঙ্গে বইতে পারে প্রবল দমকা হাওয়া। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এতে খোলা মাঠে কাজ করা কৃষক ও সাধারণ মানুষদের জন্য বজ্রপাতের ঝুঁকি বাড়বে।
এছাড়াও ১৮ থেকে ২০ অগস্ট পর্যন্ত পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, দমকা হাওয়ার গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিমি পর্যন্ত। তাই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে কড়া ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও সক্রিয় থাকবে বর্ষা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে। কোচবিহারেও অনুরূপ আবহাওয়া দেখা যেতে পারে।
প্রথম দিকে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় বৃষ্টি তুলনামূলকভাবে কম হলেও সপ্তাহের শেষের দিকে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে একাধিক দিনে ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি (৭–১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে।