রাতভর বৃষ্টির জেরে কলকাতার তাপমাত্রায় টান পড়ল বেশ খানিকটা। কাঠফাটা জ্যৈষ্ঠের মধ্যেও শনিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪ ডিগ্রি কম। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণও ছিল ৫৮ থেকে ৯৩ শতাংশের মধ্যে, ফলে কিছুটা ভ্যাপসা আবহাওয়া বিরাজ করলেও গরমের দাপট তুলনায় অনেকটাই কমেছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবারও শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং দুপুরের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই।
কেন এই বৃষ্টিপাত?
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে হরিয়ানা থেকে উত্তর-পূর্ব অসম পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর বাংলাদেশের ওপর। সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা ও অসমে সক্রিয় রয়েছে একাধিক ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের একটি ঘূর্ণাবর্ত এখন দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে, যার ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাগুলিতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শুক্রবার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। ফলে গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যেও রাজ্যবাসী খানিকটা স্বস্তি পেতে চলেছেন।
বিশেষ পরামর্শ:
বৃষ্টির সময় বজ্রপাত এড়াতে খোলা জায়গায় না থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে রয়েছে জলাবদ্ধতা বা বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যার সতর্কতাও।