
রাজ্যে এখন শীতের অপেক্ষা। অক্টোবরের শেষেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে। ঠিক তেমনটাই অনুভব করা যাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পারদ কমছে, বাতাসে মিলছে সেই চেনা শিরশিরানি ভাব।
কলকাতায় বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম। বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১.৩ ডিগ্রি কম। শহরের বাতাসেও কমছে আর্দ্রতা-সর্বাধিক ৯১ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪৮ শতাংশে। ফলে সকালের দিকে এবং রাতের বেলায় হালকা ঠান্ডা বেশ অনুভূত হচ্ছে।
আবহবিদদের মতে, আগামী কয়েকদিনে কলকাতার দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও ১-২ ডিগ্রি কমতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৫০ শতাংশের নিচে নামলে শীতের ছোঁয়া আরও বাড়বে। এখনই অনেকের ঘরে রাতের বেলায় পাখা বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যদিও লেপ-কম্বলের প্রয়োজন এখনও পড়েনি।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই শীতের দাপট শুরু হয়ে গেছে। দার্জিলিং ও সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় রাতের পারদ সপ্তাহান্তে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলেও বজায় থাকবে শীতল, মনোরম আবহাওয়া।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি বর্তমানে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে এবং সেটি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে সরে গেছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে বড় ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুধু সুন্দরবন এলাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস থাকলেও গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে।