দক্ষিণবঙ্গের শীতল প্রবাহে যেন উত্তরের ঠান্ডাও ম্লান। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলা এখন শৈত্যপ্রবাহের কবলে। বিশেষত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
শনিবার পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কালিম্পংয়ের ৯.৫ ডিগ্রিকে ছাপিয়ে যায়। শ্রীনিকেতনে তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি এবং ঝাড়গ্রামে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের শীত এবার পাহাড়কেও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।
আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির নিচে রয়েছে। আগামী সাত দিন এই তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। শহরে সকালে ঘন কুয়াশার চাদর থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সরে যাবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হয়েছে। এতে দৃশ্যমানতায় প্রভাব পড়বে, তবে সেখানে তাপমাত্রার বড় পরিবর্তন নেই।
দক্ষিণবঙ্গের তীব্র ঠান্ডা এবার পাহাড়ের শীতকেও পেছনে ফেলছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমের জেলাগুলি শীতপ্রেমীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতার মধ্যেও দক্ষিণবঙ্গের শীতল প্রভাব যেন অন্য এক চমক নিয়ে হাজির।